আমার ছেলেকে মরতে হত না এমন নিরাপত্তা থাকলে ’, মৃত আনিসুরের মা কেঁদে ফেললেন ভোট দিতে এসে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন আনিসুর ওস্তাগার। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী ব্লকের ফুলমালঞ্চ পঞ্চায়েতের ফুলমালঞ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল তাঁর ভোটকেন্দ্র। সেই বিদ্যালয়ের ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথের সামনে শনিবার মুড়ি মুড়কির মতো বোমা ছুড়েছিল দুষ্কৃতীরা। ভয়ে সেখান থেকে পালিয়েছিলেন ভোটাররা। বোমার আঘাত ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল তৃণমূল কর্মী আনিসুর ওস্তাগিরের। ওই দুই বুথে সোমবার হচ্ছে পুনর্নির্বাচন। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা এলাকা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে সুষ্ঠভাবেই চলছে ভোটগ্রহণ। বোমাবাজিতে মৃত তৃণমূল কর্মী আনিসুরের পরিবারও ভোট দিয়েছেন সোমবার।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১০ জুলাই পুনরায় ভোট হচ্ছে ফুলমালঞ্চ পুরের ১০৩ ও ১১৩ নম্বর বুথে। সেখানে নিরাপত্তার জন্য ক্যানিং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দিবাকর দাসের নেতৃত্বে পাঞ্জাব পুলিশ, রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় পুলিশের বিশাল বাহিনী রয়েছে। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয় সমগ্র এলাকা। এদিন সকালে মৃত আনিসুর ওস্তাগারের পরিবার ভোট দিতে আসে। ভোট দেওয়ার পর মৃতের মা আমেনা ওস্তাগার বলেন, “সেদিন যদি এমন নিরাপত্তা থাকতো তাহলে হয়তো আমার ছেলেকে দুষ্কৃতীরা বোমা ছুড়ে মারতে পারত না। দুষ্কৃতীদের চরমতম শাস্তি চাই।” কান্না ভেজা গলায় তিনি আরেও বলেন, “আমার ভোট দেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে ছিল না। আমার বৌমা করিমা ওস্তাগার আমার ভোট দিয়েছে।” অন্যদিকে মৃতের বৌদি তথা ১০৩ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী রোকেয়া ওস্তাগার কাঁদতে কাঁদতে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন সোমবার।