আসছে মহালয়া, শিলিগুড়িতে শুরু রেডিওর বাজার
শিলিগুড়ি : আর বেশি দেরি নেই, মা দুর্গার আগমন একেবারেই সামনে। আর আগমনের ঘন্টা বেজে যায় মহালয়া দিয়ে। দেবী দুর্গার আগমনে খুশি থাকেন আপামর বৃদ্ধ বনিতা। তাই মহালয়া কবে আসছে এই জিজ্ঞাসা থাকে সবারই মধ্য, আর মহালয়া মানেই বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, মহালয়া মানেই রেডিও, তাই সারা বছর কেউ না শুনলেও এই সময় রেডিও নিয়ে মানুষের আগ্রহ থাকে একেবারেই তুঙ্গে। রেডিও না থাকলে রেডিও কেনা এবং রেডিও খারাপ থাকলে তা ছাড়াই করা এবং ব্যাটারি না থাকলে নতুন ব্যাটারি কিনে সেই রেডিও সচল করা এটাই রীতি হয়ে এসেছে।
সেই ভোর চারটের সময় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ” আশ্বিন মাসে” কথাটা শুনলেই যেন সারা শরীরে শিহরণ জাগে। আর সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন রেডিও নামক প্রস্তুতি আপনার বিছানার পাশে থাকবে। শিলিগুড়িতে বর্তমানে রেডিওর বাজার একেবারে পড়তির দিকে না হলেও সেইভাবে নেই। একমাত্র বনেদি পরিবারেই সচল থাকে রেডিও। আর যারা পুরনো মানুষ এটি আঁকড়ে ধরতে রেডিও শোনেন। তাই মাত্র ৫০ দিন বাকুম বা তার থেকে বেশি কিছু দিন আছে মহালয়া আসতে। তাই অনেকেই রেডিওর ব্যাপারে সচেতন হতে শুরু করেছেন এই ব্যাপারে শিলিগুড়ির এক রেডিও বিক্রেতা জানিয়েছেন এটা সত্যি সারা বছরের তুলনায় এই সময় রেডিও বিক্রি প্রায় তিনগুণ বেড়ে যায়, কিন্তু বর্তমান বাজারে রেডিও শোনেন কজন? একই কথা রেডিও সারাইয়ের দোকানদার এরো, তারাও জানেন রেডিও খারাপ হয়ে থাকলেও সারাই করার আগ্রহ দেখান না কেউই, একমাত্র এই আগস্ট সেপ্টেম্বর অক্টোবরে মহালয়ার কারণেই অনেকে রেডিও সারাই করে আর এই সময় যে আমাদের কিছু আয় হয়। তবে এখন মোবাইলেও বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের বাণী শোনা যায়, আজ এই রেডিও জনপ্রিয়তা ধীরে ধীরে যে ক্ষীণ হয়ে আসছে এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। তবে হয়তো আর কিছুদিন? সত্যিই কি তাই জবাব দেবে আগামী ভবিষ্যৎ। রেডিও আমাদের মধ্যে থাকবে? না চিরকালের মতো বিদায় নেবে?