জলবায়ুর পরিবর্তন মানুষকে বাধ্য করছে দেশান্তরী হতে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোটা বিশ্বের মানুষকে চিন্তায় রেখেছে জলবায়ুর পরিবর্তন। অনেক সময় মানুষকে তার বাসস্থান ছাড়া করেছে খরা, বন্যা, সমুদ্রস্তরের উচ্চতা বৃদ্ধি। এ কারণে অনেক সময়ই সমস্ত দরজা বন্ধ হয়ে যায় মানুষের সামনে। সহায়তাও আসে কিন্তু সামান্যই। সমস্যার একটি অংশ হ’ল প্রবাসী, আশ্রয়প্রার্থী এবং শরণার্থীরা। অনেককেই নিজেদের দেশ ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হচ্ছে পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণেই ।

কোনও দেশের আইন সাধারণত নজর দেয় হিংসা, শরণার্থীদের দিকেই। দুঃখের বিষয় এগুলির দিকে নজর দিলেও কেউ বড় একটা নজর দেয় না পরিবেশের প্রতি। কোনও দেশেই সেভাবে নেই পরিবেশ সংক্রান্ত কোনও আইন। যদিও হয় পরিবেশ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন । এছাড়া উদাহরণ রয়েছে শরণার্থী নিয়েও আন্তর্জাতিক সম্মেলন হওয়ার। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেফ ,অর্ডারলি অ্যান্ড রেগুলার মাইগ্রেশন এবং গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর রিফিউজিস। এই সম্মেলনে আলোচনা হয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশগত অবনতি নিয়েই। কিন্তু এর কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই।

বাইডেন প্রশাসন ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সনাক্ত ও সহায়তা করার উপায় অনুসন্ধান। তবে বেশ জটিল এই প্রক্রিয়া। প্রায়শই দেখা যায় পরিবেশগত চাপগুলিও কারণ হয়ে দাঁড়ায় জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি মানুষকে বাস্তচ্যুত করতেও। তার ফলে মানুষ একপ্রকার বাধ্য হয় অন্য জায়গায় চলে যেতে। পরিবেশ তাদের চাপ দেয় স্থানান্তরিত করতে। এর উদাহরণও রয়েছে প্রচুর। অনেকে মারাত্মক খরা বা ঝড়ের কবলে পড়েছেন এমনকি গুয়াতেমালা থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পথে। তবে অনেকে আবার অন্য দেশে পাড়ি জমান কাজের সন্ধানেই ।

তবে এখনও পর্যন্ত তার সঠিক কোনও প্রমাণ নেই ঠিক কতজন জয়বায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রবাসী হয়েছেন। কিন্তু এর সংখ্যা অনেক বেশি বর্তমানে। , এমনকি জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য আরও বেশি সংখ্যাক মানুষের দেশান্তর ঘটবে বলে আশঙ্কা রয়েছে আগামী বছরগুলিতেও। সংখ্যাটি হতে পারে এমনকি ৮ বিলিয়ন পর্যন্ত । ফলে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বিশ্বজুড়ে বড়সড় চাপ সৃষ্টির। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এর প্রধান কারণ হল একমাত্র খরা পরিস্থিতিই। এক্ষেত্রে যেহেতু প্রয়োজন তীব্র হয়, তাই অনেকেই দেশান্তরিত হন বিপদ থেকে রক্ষা পেতে। গত ১০ বছরে বিশ্বব্যাপী দুর্যোগের কারণে স্থান পরিবর্তন করেছেন বছরে ২৩ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *