আয়কর হানা দিলো তৃণমূল বিধায়কের বিড়ি কারখানায়, এমনকি চালকলেও চললো বিশেষ তল্লাশি অভিযান
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের আয়কর হানা দিলো এ রাজ্যে। এবার খোদ তৃণমূল বিধায়কের সামশেরগঞ্জের এক বিড়ি কারখানায়। আজ বুধবার আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানায়। বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ সামসেরগঞ্জের গোবিন্দপুরেরের আনন্দ ফ্যাক্টরিতে হানা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিলেন এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। কারখানা সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রথমেই কারখানার চারিদিক কার্যত ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। মোট তিনটি গাড়িতে কারখানায় প্রবেশ করেন ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের বেশ কয়েকজন আধিকারিক। এমনকি এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় সামশেরগঞ্জের এই বিড়ি কারখানায় আয়কর হানাকে কেন্দ্র করে। শেষ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী চলছে আয়কর অভিযান।
শুধু ওই বিড়ি তৈরির কারখানাতেই নয়, এর পাশাপাশি আয়কর দফতরের আধিকারিকরা অভিযান চালায় একটি চালকলেও। ওই চালকলটিও বিধায়ক জাকির হোসেনের বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া আয়কর আধিকারিকরা মুর্শিদাবাদের সুতির একাধিক বিড়ি ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জাকির হোসেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। অতীতে রাজ্যের মন্ত্রীও ছিলেন। যদিও এখনও স্পষ্ট নয় কী কারণে, তাঁর বিড়ি কারখানা ও চালকলে আয়কর হানা সেই বিষয়টি। বিধায়কের থেকে এই বিষয়ে পাওয়া যায়নি কোনও প্রতিক্রিয়া।
তবে জাকির হোসেনের বিড়ি কারখানায় আয়কর হানা প্রসঙ্গে বিধানসভা চত্বরের বাইরে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের অপর বিধায়ক মদন মিত্র। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজস্ব ভঙ্গিমায় বলেন, “শাসন করা তাঁরই সাজে সোহাগ করে যে।” কেন্দ্রকে পাল্টা খোঁচা দিয়ে মদন মিত্রর বক্তব্য, টাকা দেওয়া হচ্ছে না অথচ হিসেব চাইতে আসছে। এমনকি তিনি শাসক দলের নেতাদের উপর কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির সক্রিয়তা নিয়েও তোপ দেগেছেন। বিদ্রুপের সুরে তাঁর মন্তব্য, এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানার বিষয়টি একটি ‘স্ট্যাটাস সিম্বল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি নাকি কোনও নেতাই নন কেন্দ্রীয় এজেন্সির হানার যোগ না থাকলে, বর্তমান পরিস্থিতি খানিক এরকমই হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মদন মিত্র মনে করছেন।