ইঁদুর-টিকটিকি মিললো মিড ডে মিলের চালের ড্রাম থেকে, অবশেষে কাঠগড়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক
বেস্ট কলকাতা নিউজ : পড়ুয়াদের মিড-ডে-মিলের খাবারে পোকামাকড় মরা পড়ে থাকার মতো ঘটনা রাজ্যে বহুবার ঘটেছে। বুধবার ফের এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলো মালদহের চাঁচল থানার অন্তর্গত সাহুরগাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুল। মালদহের সাহুরগাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুলে মিড-ডে-মিলের জন্য আনা চালের ড্রামে বন্দি মরা ইঁদুর-টিকটিকি। ড্রাম খুলতেই চক্ষুচড়ক গাছ শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের। বুধবারের এই ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র উত্তেজনা স্কুলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পাঠানো হয়েছিল চাঁচল থানার পুলিসবাহিনীকে। এদিন স্থানীয় বাসিন্দা ও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা মিড-ডে-মিলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ জানাতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে যায়। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে ঘিরেই বিক্ষোভ চালায়। সম্প্রতি বীরভূমের এক প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের ডালে সাপ পাওয়া যাওয়ায় ধুন্ধুমার বেঁধেছিল। এবার মালদহের স্কুলে চালের ড্রামে ইঁদুর-টিকটিকি!
রুটিন অনুযায়ী পড়ুয়াদের খাবার দেওয়া হয় না। দেওয়া হয়না দীর্ঘদিন ধরে ডিম,মাছ ও মাংস। তাছাড়া ভাতও সঠিক পরিমাণে দেওয়া হয় না। পাশাপাশি সব্জিতেও একই দশা।বুধবার রাধুনি তমিনা বিবি জানান, প্রায় ৪৫ জন পড়ুয়াদের জন্য মাত্র ৫০০ গ্রাম ডাল রান্না করা হয়েছিল। স্কুলের খাবার দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমান থাকায় ক্ষোভে ফুঁসছিলেন অভিভাবকরা।
স্কুলের প্রধানশিক্ষককে একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও কোনো সুরাহা মেলেনি বলেই অভিযোগ। তাছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের জন্যই স্কুলের পরিকাঠামো ভেঙে পড়ছে বলেও অভিযোগ। সাহুরগাছি-বিদ্যানন্দপুর প্রাইমারী স্কুলে যে শুধু মিড-ডে-মিলেরই সমস্যা তা নয়, রয়েছে শৌচালয় ও পানীয় জলের সমস্যাও। একটি চাপাকল থাকলেও এক বছর ধরে বিকল হয়ে রয়েছে, সেটি মেরামতের জন্য কোনও উদ্যোগই নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বাড়ি থেকে আনা পড়ুয়াদের জল স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও ব্যবহার করেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে প্রাইমারী স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উজ্জ্বল সাহা সমস্ত ঘটনাই অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন মিড-ডে-মিলে নিয়ম মেনেই নাকি খাবার দেওয়া হয়। অভিভাবকদের দাবি, অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।