২ দমকলকর্মী আহত হল সল্টলেকে FD ব্লকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ,পুড়ে ছাই এমনকি বাজারের একাধিক দোকান

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড কলকাতার সল্টলেকে। এবার পুড়ে ছাই হয়ে গেলো এফডি ব্লকের অস্থায়ী বাজারের একাধিক ঝুপড়ি দোকান । এমনকি দমকলের ২ কর্মী আহত হয়েছেন আগুন নেভাতে গিয়েও। দমকলের ১২টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায়। এমনকি দমকলকর্মীদেরও হিমসিম খেতে হয়েছে পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে । খবর পেয়ে দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সাত সকালেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি ঘটনাস্থল ঘুরেও দেখেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে প্রথমে এফডি ব্লকের অস্থায়ী বাজারে একটি ফুলের দোকান থেকে আগুন বেরোতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। প্রথমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁরা নিজেরাই। কিন্তু আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রবল হাওয়ার দাপটে। প্রচুর দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণেই আগুন হু হু করে ছড়িয়ে পড় আশপাশের দোকানে। এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তাঁরা প্রথমে ওই ফুলের দোকানের ঝুপড়িতেই আগুনের শিখা দেখতে পান। নিজেরাই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তা হু হু করে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। তারপরেই দমকলকে খবর দেওয়া হয় ।

অস্থায়ী বাজারের প্রায় শতাধিক ঝুপড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে দমকল এসে পৌঁছনোর আগেই। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল গোটা এলাকাও। প্রথম ঘটনাস্থলে আসে দমকলের ২টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে পরে এসে পৌঁছয় আরও ১০টি দমকলের ইঞ্জিন। কীভাবে আগুন লাগল তা জানা যায়নি। তদন্ত করছে দমকল। আগুনের লেলিহান শিখা একাধিক অস্থায়ী ঝুপড়িকে গ্রাস করেছে । বিপুল ক্ষতি হয়েছে বলে ঝুপড়ি দোকানের মালিকরা জানিয়েছেন। এমনকি তারা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে প্রচুর পরিমানে দাহ্য পদার্থ থাকার কারণেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে। সাধারণ বাঁশের বেড়া দিয়ে তৈরি করা হয় ঝুপড়ি দোকানগুলি। তার মধ্যে প্লাস্টিক দিয়েও ঢাকা থাকে। ইলেকট্রিকের কানেকশনও ঠিক মত থাকে না। অর্থাৎ বিদ্যুতের সংযোগ নেওয়া হয় না সুরক্ষা বিধি মেনে। তার জেরে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে একবার আগুন লাগার পরে । বিদ্যুতের সংযোগে কোনও গলদ থাকার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কিনা তদন্ত করা হচ্ছে তা নিয়েও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *