ইতিহাস চিকিত্সাবিজ্ঞানে! অবশেষে হু ছাড়পত্র দিল বিশ্বে প্রথম ম্যালেরিয়ার টিকায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : এ যেন এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত। এ বার বুঝি সত্যি সত্যি জয় করা গেল মারণ ম্যালেরিয়ার আতঙ্ককে। আশার আলো দেখাচ্ছেন এমনকি বিজ্ঞানীরাও। অবশেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) অনুমোদন দিল বিশ্বে প্রথম ম্যালেরিয়ার ভ্যাকসিনে। টিকায় সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়েছে মানুষের শরীরে পরীক্ষা নিরীক্ষার পরেই। ম্যালেরিয়ার এই ভ্যাকসিনের নাম আরটিএস, এস/এএস০১ (RTS,S/AS01)। প্রতি বছর বিশ্বে চার লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয় ম্যালেরিয়ার কোপে।
ম্যালেরিয়া একপ্রকার মহামারীর আকার নিয়েছে বিশেষ করে আফ্রিকায়।শয়ে শয়ে শিশুর মৃত্যু প্রবল ভাবে নাড়া দিয়েছে এমনকি আন্তর্জাতিক চিকিত্সক ও বিজ্ঞানীমহলকেও। বহু বছর ধরেই গবেষণা চলছিল ম্যালেরিয়ার টিকা নিয়েও। এর আগে ‘মসকুইরিক্স’ (আরটিএস,এস ভ্যাকসিন)-এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল আফ্রিকার শিশুদের ওপর। গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিল সেই ভ্যাকসিন। সেই ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছিল এমনকি ইউরোপিয়ান ড্রাগ রেগুলেটরসের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও জানিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে এই ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছিল ঘানা, কেনিয়া-সহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হয় শিশুদের শরীরেও।ভ্যাকসিনে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এই ট্রায়ালের রিপোর্ট সুরক্ষিত দেখেই।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর রিপোর্ট এও বলছে ম্যালেরিয়ার মারণ থাবায় বিশ্বজুড়ে পাঁচ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় প্রতি বছর। এতদিন সে ভাবে বাজারে আসেনি এর উপযোগী কোনও টিকা। তার সাফল্য বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি কোনও ওষুধই, কারণ, কিছু দিন সেই ওষুধ ব্যবহারের পর, পরজীবীরা শিখে গেছে তার কার্যকরী ক্ষমতাকে প্রতিরোধ করতে। ফলে তোলপাড় করে এত বছর গবেষণা চলছিল ম্যালেরিয়ার প্রতিষেধকের খোঁজে। এবার আশা করা যায় সাফল্য মিলেছে বলেই।