এই গ্রাম আজও অন্ধকারে দীপাবলি কাটায় ২০০ বছর ধরে , ঘটেছিল এক মর্মান্তিক ঘটনা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গোটা দেশ যখন আলোর রোশনাইতে সেজে ওঠে, তখনও অন্ধকারে থাকে এক গ্রাম। জ্বলে না কোনও আলো, শোনা যায় না কোনও বাজির শব্দ। যেন এক অদ্ভুত শোকের ছায়া। বিগত প্রায় ২০০ বছর ধরে এভাবেই দীপাবলি কাটাচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশের পোন্নানাপেলাম গ্রাম। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিয়ে হয়ে এই গ্রামে এসেছেন, এমন মহিলারা দীপাবলি পালন করতে পারেন না। বহু বছর ধরেই এমন বিধান দেওয়া হয়েছে গ্রামের মহিলাদের। তবে ওই গ্রামের মেয়েদের যদি অন্য গ্রামে বিয়ে হয়, তবেই তাঁরা দীপাবলি পালনের অনুমতি পান।

আসলে ২০০ বছর আগে এই গ্রামের মানুষও দীপাবলি পালন করতেন। ঘরে ঘরে জ্বালানো হত প্রদীপ। সেই সঙ্গে ওই দিনেই পালিত হত নাগুলা চবিতি। সাপের পুজো করা হত ওই নাগুলা চবিতিতে। কিন্তু এমন এক দীপাবলির দিনেই সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল এক শিশু, সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল দুই গরুর। তারপর থেকেই বন্ধ আলোর উৎসব। দীপাবলি বা নাগুলা চবিতি কোনোটাই আর উদযাপন করা হয় না ওই গ্রামে।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমেছে কুসংস্কারের প্রভাব। গ্রামের পড়ালেখা করা ছেলেমেয়েরা অনেকবারই সেই রীতি ভাঙার চেষ্টা করেছে। শিক্ষার আলোয় গ্রামের মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এসবই আসলে অন্ধ বিশ্বাস। তবে কেউই সেই রীতি ভাঙতে রাজি হননি। গ্রামের এক বাসিন্দা এও জানান, বছর কয়েক আগে রীতি ভেঙে দীপাবলি পালন করেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত কয়েক বছর পর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর সন্তানের। গ্রামে ফের খবর রটে যায় যে, রীতি ভেঙে দীপাবলি পালন করার জন্যই মৃত্যু হয়েছে তাঁর সন্তানের। এরপর আরও কড়া হয় সেই বিধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *