এই সব খাবার নিয়মিত খেতে পারেন লিভার ভাল রাখতে হলে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : লিভার ২৪ ঘণ্টা কাজ করে চলে শরীর সুস্থ রাখতে। আমরা যা খাই বা পান করি তা আমাদের অন্ত্রে পৌঁছায় মূলত লিভার হয়ে। এই সব খাদ্য সামগ্রীর পাচনের জন্য লিভার প্রয়োজনীয় বাইল বা পিত্তরস ও অ্যালবুমিন নিঃসরণ করে থাকে । এই উপাদানগুলি শরীরের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় শক্তি তৈরি করে খাদ্যে থাকা ফ্যাট ও অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান থেকে। তাই লিভার ভাল রাখা অত্যন্ত আবশ্যক শরীর সুস্থ রাখতে হলে । তা না হলে খুব সহজেই লিভারে সমস্যা হতে পারে এবং শরীরে তৈরি হতে পারে নানা রকমের সমস্যাও । তাই লিভার ভাল রাখতে ও কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে বিশেষ উপকার পাবেন-প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এই সব খাবার রাখলে
জল : জল অত্যন্ত আবশ্যক লিভারের ডিটক্সিফিকশনের জন্য। জল মূলত বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাষণ করে লিভার ও লিভার টিস্যু থেকে। জল শরীর থেকে টক্সিন বার করার সময় কিডনির টক্সিনও নিষ্কাষণ করে। এর ফলে বর্জ্য পদার্থ নিষ্কাষণে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয় না লিভারের ওপর।এতে লিভারের কার্যক্ষমতা ভাল থাকে।
ব্লুবেরি : ব্লুবেরিতে পলিফেনলস রয়েছে। এই বিশেষ উপাদান রক্ষা করে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে। আক্রান্তদের স্থূল করে তোলে এবং কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয় এই নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি অ্যাসিডের অসুখ। পলিফেনলস রয়েছে ব্লুবেরির পাশপাশি জলপাই, প্লাম ও ডার্ক চকলেটেও। পলিফেনলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্লেমেটারি কার্যকারিতা রয়েছে। তাই যে কোনও দীর্ঘমেয়াদি অসুখের ক্ষেত্রে শরীরের নানা সমস্যায় অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও ইনফ্লেমেশনের থেকে রক্ষা করে।
ওটমিল: ওটে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ডায়টারি ফাইবার। এই ফাইবার খুব ভালো লিভারের জন্য। যাদের ফ্যাটি লিভার ডিজিস রয়েছে তাদের জন্য এই ওটস ভীষণ উপকারী। শরীর সুস্থ থাকে ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে ।
ব্রোকলি: পুষ্টিতে ভরা ব্রোকলি লিভারের ভাল রাখতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্রোকোলি আমাদের শরীরে গ্লুটাথিওইনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এই বিশেষ পদার্থ লিভার ডিটক্সিফিকেশন করে। পাশাপাশি ব্রোকলি লিভারের নন-অ্যালকোহলিক চর্বিজনিত অসুখের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।
গ্রিন টি : গ্রিনটিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটা শরীরের জন্য উপকারী। গ্রিনটিতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট লিভারের এনজাইমের স্তর বাড়ায় ও অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কম করে ও লিভারে ফ্যাট জমতে দেয় না।
আমন্ড বাদাম : আমন্ড বাদামে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন ই ও আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে। শরীরে পর্যাপ্ত ভিটামিন ই ‘ফ্যাটি লিভার’ সংক্রান্ত অসুখ দূরে রাখে। পাশাপাশি শরীর থেকে ব্যাড কোলেস্টেরল সরাতে লিভারকে সাহায্য করে আমন্ড বাদাম। একইসঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এই খাবারগুলোর পাশাপাশি সবুজ শাকসবজি যেমন পালং শাক, সরষের শাক খেতে পারেন। সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন রয়েছে। এগুলি ফ্যাটি লিভারের অসুখ দূরে রাখতে কার্যকরী।