একশো রোগের একটিই সমাধান টক ঢ‍্যাঁড়স!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এই গাছ এক সময়ে ছিল অতি সহজলভ্য। নিম্নবিত্ত মানুষের কাছেও ভেষজ‌ই এই গাছ ছিল সবচেয়ে সহজলভ্য । অবদান অসামান্য। কিন্তু চলতে পারেনি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে । তাই হারিয়ে গিয়েছে বলা যেতেই পারে। টক ঢ‍্যাঁড়স। অনেকেই তাকে বলতেন চুকোই, চুকর, মেস্তা। শীতের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় জিভ-মুখের‌ অভ্যন্তর ও দুই ঠোঁটের কোনের ঘায়ে ভোগেন অনেকেই। অথচ আদিবাসী সমাজে এই ঘায়ের প্রকোপ অনেকতাই কম তুলনামূলক ভাবে । কিন্তু এর কারণ কি?

জানা যাচ্ছে, ভিটামিন বি-সিক্স ও ভিটামিন সি তে সম্ব্রিদ্ধ এই টকঢ‍্যাঁড়স। যা ইপলি আরা, জেঙ্গা, কোটলে আরা, লাল কুদরুম, যুগি থেপা নামেই বেশি পরিচিত আদিবাসী বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ভাষায়। আদিবাসীরা এই গাছের চাষ করেন এবং কচিপাতা থেকে শুরু করে এর ফুল, কচি ফল, বৃতি, বীজ সব‌ই হয় খাবার যোগ্য। ব্যবহার করা হয় ওষুধ হিসাবেও। লোধা সম্প্রদায়ের মানুষরা সামান্য নুনসহ এর পাতা ফোটানো জল জোলাপের মত ব্যবহার করে থাকেন কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের ক্ষেত্রেও। বীজ সরষের তেলে ফুটিয়ে লাগান চর্মরোগের ক্ষেত্রেও।সাঁওতাল সম্প্রদায় এর মানুষজন এর পাতা বেটে নিয়মিত প্রলেপ লাগান হাড় ভেঙে গেলে। মূত্রকৃচ্ছতায় গোলমরিচ সহ পাতার রস খাওয়ানো হয়। বীজচূর্ণ খাওয়ানো হয় কৃমিরোগের উপদ্রবেও । পূর্ব-ভারতে ও বাংলাদেশের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে, বেলে দোঁয়াশ ও পলিমাটিতে খুব ভালো জন্মায় টকঢ‍্যাঁড়স । এর ফলের পুরু বৃতি থেকে তাৎক্ষণিক ব্যবহারের সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর চাটনি এবং সংরক্ষিত জ‍্যাম জেলি আরো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা যায়। বানিজ্যিক স্বার্থেই এজন্য বিভিন্ন ভিটামিন ও বহু খনিজসমৃদ্ধ এই মহামূল্য টকঢ‍্যাঁড়স বহুলভাবে চাষ করা ও মানুষকে উৎসাহিত করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *