এক যুগান্তকারী নিরাপত্তা! প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের জন সভা ঘিরে!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ :রাত পোহালেই তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের ‘শহিদ দিবস’ পালন। রাজ্যের শাসকদলের এই সমাবেশ ঘিরে নজিরবিহীন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত পুলিশ প্রশাসনের। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শুক্রবার মোড়া থাকবে গোটা ধর্মতলা চত্বর। ডেপুটি কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা থাকবেন নিরাপত্তার দায়িত্বে। এছাড়াও রাখা হবে কুইক রেসপন্স টিম থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও।

আগামিকাল শুক্রবার কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবস পালন কর্মসূচি। রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের এটাই সবচেয়ে বড় ইভেন্ট। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামিকাল তৃণমূলের এই সভা ঘিরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কলকাতা পুলিশের প্রায় ৫ হাজার কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এলাকার ২০টি ছাদ থেকে নজরদারি চালাবে পুলিশ। সভাস্থলের কাছে রাখা থাকবে ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্স। এছাড়াও ‘May I help Booth’ গড়ে সভায় আগতদের সাহায্য করা হবে। ৪৮টি এই ধরনের বুথ থাকবে। এরই পাশাপাশি আপতকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে থাকবে কুইক রেসপন্স টিম।

শুক্রবার তৃণমূলের এই সভাকে কেন্দ্র করে তোড়জোড় তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের নানা প্রান্তের জেলাগুলি থেকে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকরাকলকাতায় আসতে শুরু করেছেন । তাঁদের থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে। সল্টলেকের করুণাময়ী সেন্ট্রাল পার্কে থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে মূলত উত্তরবঙ্গর দার্জিলিং, জলপাইগুলিড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, মালদহ থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের জন্য। এখানে থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছেকমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষের ।

অন্যদিকে, দক্ষিণ কলকাতার কসবার গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামেও একুশে জুলাইয়ের সভায় আসা দলের কর্মী -সমর্থকদের জন্য থাকা-খাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে তৃণমূল। বুধবার গীতাঞ্জলী স্টেডিয়ামে গিয়ে কর্মীদের থাকা-খাওয়ার আয়োজন ঘুরে দেখে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আগামিকাল কলকাতা মেট্রোরেলেও বিশেষ সুরক্ষার বন্দোবস্ত থাকছে। বিভিন্ন মেট্রো স্টেশনে বাড়তি সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি চালানো হবে। এছাড়াও শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনেও একুশে জুলাইয়ের সভায় আসা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের জন্য থাকবেন দলের শীর্ষ নেতারা। সেখান থেকে ধর্মতলার উদ্দেশে যাবে মিছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *