এখন নজরে SBI-এর ‘পেনড্রাইভ’-, কারা কিনল ২২ হাজার নির্বাচনী বন্ড? জানুন বিস্তর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪-এর ১৫ ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ, যেদিন সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প বাতিল করে, সেই দিন পর্যন্ত মোট ২২,২১৭টি নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে, বুধবার (১৩ মার্চ), সুপ্রিম কোর্টে জানাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। সুপ্রিম ধমক খেয়ে, মঙ্গলবার বিকেলেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে দিয়েছিল এসবিআই। এদিন, আদালতে একটি হলফনামা দিয়ে তা জানাল ব্যাঙ্ক। ওই হলফনামাতেই এসবিআই জানিয়েছে গত পাঁচ বছরে ২২,২১৭টি নির্বাচনী বন্ড কেনা হয়েছে, আর এর মধ্যে ২২,০৩০টি বন্ড ভাঙিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাকি ১৮৭টি বন্ড, নিয়ম মেনে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় ত্রাণ তহবিলে জমা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনী বন্ড পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে সেগুলি না ভাঙালে ওই অর্থ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে চলে যায়।

এদিন হলফনামায় স্টেট ব্যাঙ্ক জানিয়েছে একটি পেনড্রাইভে করে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্যাবলী জমা দেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট এসবিআই-কে বলেছিল, কারা বন্ডগুলি কিনেছে তার বিবরণ দিতে। আর কোথা থেকে টাকা এসেছে এবং কোন রাজনৈতিক দল কতগুলি বন্ড ভাঙিয়েছে তার তথ্য দিতে। এসবিআই এদিন জানিয়েছে, দুটি পিডিএফ ফাইলে এই দুই ধরনের তথ্যাবলী দেওয়া হয়েছে। ফাইলগুলি পাসওয়ার্ড-সুরক্ষিত, অর্থাৎ, সঠিক পাসওয়ার্ড ছাড়া ফাইলগুলি খোলা যাবে না।

উল্লেখ্য ,গত ১৫ ফেব্রুয়ারি, এক ঐতিহাসিক রায়ে, নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট এবং এই প্রকল্প বাতিল করেছিল। আদালত আরও বলেছিল, যারা টাকা দিচ্ছে তাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির বোঝাপড়া সম্পর্কে নাগরিকরা কিছু জানতে পারছেন না। অর্থ দিয়ে দেশের সরকারি নীতিকে প্রভাবিত করা হচ্ছে কিনা, এমনকি তা জানা যাচ্ছে না। এর ফলে, সংবিধানে নাগরিকদের যে তথ্য জানার অধিকার দেওয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাই অবিলম্বে এই বন্ড ইস্যু করা বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল এসবিআই-কে এবং নির্বাচন কমিশনকে ওই তথ্যগুলি দিতে বলা হয়েছিল। তবে, নির্ধারিত সময়ের মাত্র দুদিন আগে এসবিআই জানিয়েছিল, তাদের অন্তত ৪ মাস সময় লাগবে। তবে আদালত সেই আবেদন মানেনি। এবার, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব ১৫ মার্চের মধ্যে এই তথ্য জনসমক্ষে নিয়ে আসা। কী রয়েছে এসবিআই-এর জমা দেওয়া পেনড্রাইভে, সেই দিকেই এখন সকলের চোখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *