এবার রাজ্য সরকারের অর্থনৈতিক করিডোর গড়ে তোলার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ তাজপুর বন্দর ও রঘুনাথপুর শিল্পনগরীকে কেন্দ্র করে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করবে আদানি গোষ্ঠী, এমনটাই ধরে নিয়ে এবার রাজ্য সরকার বিশেষ ভাবে তত্‍পর হল এই বন্দরকে কেন্দ্র করে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে ,নবান্ন সূত্রে এমনটাই খবর পাওয়া গিয়েছে। সূত্রের খবর, নবান্নের শীর্ষ কর্তারা ভাবনাচিন্তা শুরু করছে তাজপুর থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার জন্য।রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে সোমবার হওয়া বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই বিশেষ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিল্প দফতরের আধিকারিক এবং কয়েকটি জেলার জেলাশাসকরাও ।সূত্রের খবর, বৈঠকে তাজপুর থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত করিডরের দুপাশে পড়ে থাকা জমি যেখানে কৃষি কাজ হয় না নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেগুলিকে চিহ্নিত করার জন্য।

এমনকি শিল্পপতিদের বিশেষ উত্‍সাহিত করা হবে এই পড়ে থাকা জমিতে শিল্পতালুক গড়ে তুলতে । প্রাথমিকভাবে তাও ঠিক করা হয়েছে এই অর্থনৈতিক করিডরে কী কী শিল্প স্থাপন করা হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে বিশেষ করে সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, লৌহ আকরিক শিল্পের উপযোগী শিল্প বা অনুসারী শিল্প বিকাশে উত্‍সাহিত করা হবে বলেও ।

পাশাপাশি শিল্পপতিদের সুবিধার্থে রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে যে সিঙ্গল উইন্ডো বা এক জানলা নীতি গ্রহণ করেছে তার সুবিধা যাতে তারা পায় সেটা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।সোমবার নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিব এইচ কে দ্বিবেদীর নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের ওই প্রশাসনিক বৈঠকে আলোচনা হয় পতিত জমি ফেরানো-সহ একাধিক বিষয়েও । নবান্ন সূত্রের খবর, বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যদি কোনও সংস্থা বা শিল্পপতি শিল্পের নামে কম দামে জমি নিয়ে সেই জমি ফেলে রাখে, তাহলে লিজের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে সেই জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। সেগুলিতে অন্য শিল্পস্থাপনের চেষ্টা করা হবে। আর তা যদি না সম্ভব হয় তাহলে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে সেই জমি কৃষিজমিতে রূপান্তরের চেষ্টা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *