স্কুলেই এক কিশোরীর মৃত্যু হল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে , ভয়ঙ্কর কারণ জানা গেলো ময়নাতদন্তের পর

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বয়স সবে মাত্র ১৬। ক্লাসেই হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে লুটিয়ে পড়েছিল একাদশ শ্রেণির ছাত্রী (Student)। শিক্ষিকা ও সহপাঠীরা ভেবেছিলেন, দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা বা মাথা ঘুরিয়ে হয়তো পড়ে গিয়েছে কিশোরী। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকেরা হাজার চেষ্টা করেও ফেরাতে পারলেন না কিশোরীর জ্ঞান। তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হল। অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই রিপোর্টে যা জানা গেল, তাতে হতবাক কিশোরীর পরিবার থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। জানা গেল, হৃদরোগে (Cardiac Arrest) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কিশোরীর। কিন্তু এত কম বয়সে কীভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হল ওই কিশোরী? ঘটনাটি ঘটেছে মধ্য় প্রদেশের ইন্দোরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার স্কুল চলাকালীনই মৃত্যু হয় বছর ১৬-র ওই কিশোরীর। মৃতার নাম বৃন্দা ত্রিপাঠী। উষা নগরের একটি বেসরকারি স্কুলের একাদশ শ্রেণির পড়ুয়া ছিল ওই ছাত্রী। মৃত ওই ছাত্রীর কাকা জানান, বুধবার সকালে স্কুলে গিয়েছিল বৃন্দা। পরের দিন প্রজাতন্ত্র দিবস থাকায় তার রিহার্সাল করতেই স্কুলে গিয়েছিল ওই কিশোরী। আচমকাই সে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়। সহপাঠী ও শিক্ষিকারা তাঁর চোখে মুখে জল দিয়ে জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করলেও, ওই কিশোরী কোনও সাড়া শব্দ দিচ্ছিল না। এরপরই তাঁকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসকেরা কার্ডিওপুলমোনারি রিসাসশনের (সিপিআর) চেষ্টা করলেও ওই কিশোরীর হুঁশ ফেরেনি। এরপরই চিকিৎসকরা কিশোরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিৎসকেরা জানান, কিশোরীকে হাসপাতালে মৃত অবস্থাতেই নিয়ে আসা হয়েছিল। ময়নাতদন্ত করে দেখা যায়, চোওয়ালে আঘাত রয়েছে কিশোরীর। জ্ঞান হারিয়ে সে যখন মাটিতে পড়ে যায়, তখনই এই আঘাত লাগে। তবে তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ হল হৃদরোগ। অতিরিক্ত ঠান্ডাতেই ওই কিশোরী হৃদরোগে আক্রান্ত হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। মৃত্যুর সময় ওই কিশোরী পাতলা ট্রাকস্যুট পরেছিল। তাঁর পেটে খাবারের কিছু অংশও পাওয়া গিয়েছিল। কিশোরীর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের তরফে চক্ষুদান করা হয়। অন্যদিকে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রবল ঠান্ডায়, বিশেষ করে ভোর ৪টে থেকে সকাল ১০টার মধ্যে শরীরে বিভিন্ন হরমোন হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং তার জেরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। এতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেশি বেড়ে যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *