কংগ্রেসের কৌস্তভ শুভেন্দুর ভূয়সী প্রশংসায়! কীসের ইঙ্গিত কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে ? উঠছে প্রশ্ন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা ইস্যুতে শুরু থেকে সরব কৌস্তভ বাগচি। তবে কংগ্রেসে থেকেই সেই লড়াই চালাচ্ছেন এই আইনজীবী নেতা। প্রতিবাদের মাসুলও গুনেছেন। তারপরও হাত ধরে রয়েছেন কৌস্তভ। বিজেপিতে গিয়ে কী তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে কথা ভাবছেন তিনি? খোলসা করেননি। কিন্তু, এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতার ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল কৌস্তভ বাগচির মুখে। বিরোধী দলনেতা হিসাবে ভূমিকাগত তুলনা টানলেন নিজের দলের প্রবীণ নেতার সঙ্গে। ‘বিকল্প রাজনীতি’র কথা বলে উস্কে দিলেন নয়া জল্পনা।

‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমার কাছে শুভেন্দু অধিকারী অচ্ছুৎ নন। মতপার্থক্য থাকতে পারে, কিন্তু বিরোধী দলনেতা হিসাবে ওনার পারফরমেন্স ছোট করা যাবে না। অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। উল্লেখ্য, ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে এর আগে শুভেন্দু অধিকারী ও কৌস্তভ বাগচিকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ের কোনও মঞ্চে একসঙ্গে থাকতেও আপত্তি নেই বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতা।

‘২০১৬ সাল থেকে পাঁচ বছর কংগ্রেস বিধানসভায় প্রধান বিরোধী দল ছিল। আমার দলের একজন কংগ্রেস নেতা ছিলেন। কিন্তু তাঁকে কোনও সরকার বিরোধী আন্দোলনে সেইভাবে দেখা যায়নি। শুধু বড় বড় কথা শোনা যেত। অন্যদিকে বর্তমান বিরোধী দলনেতা অত্যন্ত ভোকাল। বিরোধী নেতা হিসাবে মানুষ শুভেন্দুবাবুকে দেখতে পান। ঠিক-ভুল নিয়ে আমার মতান্তর থাকতে পারে। কিন্তু মানুষ জানে কে বিরোধী দলনেতা।’

অর্থাৎ নাম না করে আব্দুল মান্নারকেই আক্রম শানিয়েছেন কৌস্তভ। কেন হঠাৎ নিজের দলের নেতাকেই কটাক্ষ করলেন তিনি? তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা ইস্যুতে শুরু থেকেই সরব কৌস্তভ বাগচি। হাই-কমান্ড থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন তিনি। তারপরই সংগঠন থেকে পদ গিয়েছে তাঁর। কৌস্তভের অতি সোচ্চার হওয়া নিয়ে সমালোচনা উড়ে এসেছিল মান্নানের তরফে। মনে করা হচ্ছে এদিন তারই পাল্টা দিয়েলেন কৌস্তভ।

‘বিকল্প রাজনীতি’ : ‘বার বার বলছি, তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে হলে বিকল্প রাজনীতি প্রয়োজন। শুভেন্দু অধিকারী মাঝে মধ্যে যেসব মন্তব্য করেন তাতে ইঙ্গিত পাচ্ছি যে উনি বিজেপিতে থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সবটা করতে পারছেন না। তাই বিকল্প রাজনীতিটা খুবই দরকার।’ তাহলে কী শুভেন্দু-কৌস্তভ-কে অচিরেই তৃণমূল বিরোধী লড়াইয়ে একসঙ্গে দেখা যাবে? কংগ্রেস নেতার ইঙ্গিতবাহী জবাব, ‘রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *