কাদের ফোনালাপ রয়েছে রহস্যময় কল রেকর্ডিং-এ? এবার এক নতুন মোড় কালীঘাটের ‘কাকু’র কণ্ঠস্বর যাচাইয়ে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে শেষে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করেছে ইডি। আর এই গোটা ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল রাহুল বেরা নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মোবাইল থেকে। সেই মোবাইল থেকেই একটি কল রেকর্ডিং হাতে এসেছিল ইডির। ইডির সন্দেহ, সেখানে একটি কণ্ঠ সুজয় ভদ্রের। এসবের মধ্যেই বৃহস্পতিবার সেই সুজয় ‘ঘনিষ্ঠ’ সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার ডাক পড়েছিল নিজাম প্যালেসে। সিবিআইয়ের অফিসে। দীর্ঘক্ষণ পর নিজাম থেকে বেরিয়ে রাহুল বেরা যা দাবি করলেন, তাতে আরও চাঞ্চল্যকর। রাহুলের দাবি, যে কল রেকর্ডিং এতদিন ধরে ইডির স্ক্যানারে, সেখানে রাহুলের কোনও কণ্ঠস্বরই নেই।

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আসলে সম্পূর্ণটাই ভুয়ো অযোধ্যার রামমন্দিরের সামনের পুণ্যার্থীদের এই জনসমুদ্র, অবশেষে সামনে এল প্রকৃত তথ্য

রাহুল বেরার আইনজীবীও আজ এসেছিলেন সিবিআই অফিসে। তিনি জানালেন, রাহুলকে আজ সিবিআই জিজ্ঞেস করেছিল কল রেকর্ডিংয়ে তাঁর কণ্ঠস্বর রয়েছে কি না। কিন্তু রাহুলের দাবি, সেখানে তাঁর কোনও কণ্ঠস্বরই নেই। তাঁর ফোন থেকে অন্য কেউ কথা বলে থাকতে পারে। প্রয়োজন হলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা সেটি ফরেন্সিকে পাঠাতে পারে বলেও দাবি রাহুলের আইনজীবী।

কিন্তু যদি সেই কল রেকর্ডিংয়ে রাহুলের কণ্ঠস্বর না থাকে, তাহলে কার কণ্ঠস্বর রাহুলের ফোনে? তাহলে কি রাহুলের ফোন অন্য কেউ ব্যবহার করত? তাঁর ফোন থেকে কে কথা বলল, সেটাও নাকি জানেন না রাহুল। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমনই দাবি করলেন রাহুল ও তাঁর আইনজীবী। তাঁর আইনজীবীর বক্তব্য, রাহুল মাঠে খেলতে যেত, সেই সময় কেউ তাঁর ফোন ব্যবহার করতে পারে। যদিও সুজয় ভদ্রের সঙ্গে পরিচিতির কথা অস্বীকার করেননি রাহুল। সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল নাকি গাছের চারা দিতে সুজয় ভদ্রের বাড়িতে বেশ কয়েকবার গিয়েছিলেন। এর বেশি কোনও পরিচিতি নেই বলেই দাবি রাহুল বেরার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *