কারবার করা যাবে বাড়িতেই, চটজলদি বিপুল রোজগার সামান্য খরচেই, এই ব্যক্তি এক দিশা দেখাচ্ছেন বেকার যুবকদের

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মালদায় কোরিয়ান প্রজাতির পালং শাক চাষ করে লাভের দিশা দেখাচ্ছেন মালদার কৃষক মনোতোষ রাজবংশী। এই কোরিয়ান প্রজাতির পালংশাককে বলা হয়ে থাকে পাকচই শাক। পরীক্ষামূলকভাবে পুরাতন মালদা ব্লকের কৃষক মনোতোষ রাজবংশী ভিন রাজ্য থেকে এই পাকচই শাকের বীজ নিয়ে এসে চাষ শুরু করেছিলেন। আর তারপরেই সাফল্য মিলেছে। চলতি বছর মনোতোষবাবু বাণিজ্যিকভাবে তার জমিতে কোরিয়ান প্রজাতির এই পাকচই শাকের চাষ শুরু করেছেন।

উদ্যানপালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাকচই শাক মূলত শীতকালীন সবজি । দেশীয় শীতের সবজি চাষের পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়।‌ পাকচই মূলত কোরিয়া এবং চিনের সবজি। দেখতে অনেকটা পালং শাকের মতো। এই সবজি খেতেও অনেকটা পালংশাকের মতো। স্থানীয় পালংশাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল বিদেশি এই পাক চই শাকের।

বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এই সবজি চাষ হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই সবজি খাচ্ছেন। মূলত রেস্তোরাঁগুলিতে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা। কারণ বর্তমান রেস্তোরাঁগুলিতে দেশীয় খাবারের থেকে বিদেশি খাবারের চাহিদা ব্যাপক। মূলত মালদা শহরে ও একাধিক রেস্তোরাঁ। যেগুলিতে বিদেশি খাবারের চাহিদা সবথেকে বেশি। তাই বিদেশি এই সবজির চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মালদায়। এই বাজার ধরতেই পুরাতন মালদহের কৃষক মনোতোষ রাজবংশী প্রথম পাক চই চাষ শুরু করেছেন।

তিনি আরোও বলেন , প্রথম বছর থেকেই ব্যাপক বিক্রি করছি এই শাক। বর্তমানে পাইকারি মূল্যে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলা বাজারে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই শাক। মানুষের মধ্যে প্রচলন রয়েছে খাবার তাই অনেকেই কিনে খাচ্ছেন। তবে অধিকাংশ মানুষ নতুন এই খাবার টেস্ট করার জন্য কিনে খাচ্ছেন। ধীরে ধীরে দেশীয় সবজির সঙ্গে বিদেশি এই সমস্ত সবজির চাহিদা বাড়ছে মালদায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *