কেন পরিধি বৃদ্ধি বিএসএফ-এর ক্ষমতার? হাইকোর্ট কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে তীব্র প্রতিবাদ উঠেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র ক্ষমতার এক্তিয়ার বৃদ্ধি নিয়ে। এ নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় এমনকি কলকাতা হাইকোর্টেও। কলকাতা হাই কোর্ট মঙ্গলবার কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চাইল সেই দায়ের হওযা মামলার শুনানিতে। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে ওই বিষয়ে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আগামী দু’মাসের মধ্যেই। আবার এদিকে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন পঞ্জাব সরকারের দায়ের করা এই ধরনের একটি বিশেষ মামলা, তাই সেখানে কী হয় সব পক্ষ তাকিয়ে রয়েছে এমনকি সে দিকেও।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার ৫০ কিলোমিটার পরিধি পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে পঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে , যা আগে ছিল মূলত ১৫ কিলোমিটার। হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই। এদিকে মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় সওয়াল করেন, ‘‘বিএসএফ-এর আইন অনুযায়ী তাদের কার্যক্ষেত্রের পরিধি বাড়তে পারে যে কোনও ক্ষেত্রেই। ফলে যা এখন ১৫ কিলোমিটার, এর পর তা হতে পারে ৫০ কিলোমিটার, তার পর হয়তো সেটা আরও বৃদ্ধি পাবে! তাই এটাকে আটকানো দরকার এখনই ।’’ এর পাল্টা হিসাবে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ওয়াইজে দস্তুর বলেন, ‘‘এর বিপরীতও রয়েছে। সেটা কিন্তু বলা হচ্ছে না। ৮০ কিলোমিটার থেকে কমানো হয়েছে রাজস্থান এবং গুজরাত সীমান্তে। বিএসএফ-কে কেন বাড়তি ক্ষমতা দেওয়া হল, তার সবটাই আমরা আদালতে জানাব বিস্তারিত ভাবেই।’’
এ নিয়ে এদিকে প্রধান বিচারপতি শ্রীবাস্তব জানতে চান রাজ্যের মতামতও। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় এই বিষয় আদালতে জানান, “যে হেতু বিএসএফ-এর ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে পঞ্জাব সরকার ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে, তারা তাই কী আবেদন করেছে, আমাদের কাছে তা জানা নেই। না দেখে অবস্থান জানানো এখনই সম্ভব নয়।” আর তার পরই হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেছে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি।