কোনও লাভ হল না সেপটিক ট্যাঙ্কে গা ঢাকা দিয়েও! আরও এক গ্রেফতার হল গড়িয়াহাট জোড়া খুনের ঘটনায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর লুকিয়ে ছিলেন পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে । কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হল না। অবশেষে পুলিশ গ্রেফতার করল গড়িয়াহাট জোড়া খুনে চতুর্থ অভিযুক্ত সঞ্জয় মণ্ডলকে। উল্লেখ্য , গত ১৭ অক্টোবর কর্পোরেট কর্তা সুবীর চাকী এবং তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডল খুন হয়েছিলেন গড়িয়াহাটের কাঁকুলিয়া রোডের বাড়িতে।অবশেষে পুলিশ চতুর্থ অভিযুক্ত সঞ্জয়কে গ্রেফতার করল সেই ঘটনার ১২ দিনের মাথায়। তবে এখনও অধরা রয়েছে মূল অভিযুক্ত ভিকি এবং তার আরও এক সঙ্গীও। শুক্রবার সঞ্জয়কে গ্রেফতারের ঘটনায় মোট চারজন দাঁড়ল গড়িয়াহাট জোড়া খুনে মোট গ্রেফতারির সংখ্যা।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার উপকূলবর্তী এলাকা পারুলিয়া থেকে শুক্রবার সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। ভোর তিনটে নাগাদ তাঁকে গ্রেফতার করা হয় পারুলিয়ার রামা বৈদ্য নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, সঞ্জয় লুকিয়েছিলেন ওই বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে। সম্ভবত তিনি গা-ঢাকা দিয়েছিলেন পুলিশ আসার খবর পেয়েই। কিন্তু লাভ হল না সে সব করেও। জানা গেছে সঞ্জয়ের বয়স ৩৪। তাঁর বাড়ি ডায়মণ্ড হারবারে ভিকির বাড়ির কাছেই। তিনি টোটো চালান। গোয়েন্দারা জানিয়েছেন ১৭ অক্টোবর কাঁকুলিয়ায় কর্পোরেট কর্তাকে খুনের ঘটনায় সঞ্জয় সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলেও। আজ শুক্রবারই তাঁকে তোলা হবে আদালতে ।
এর আগে কলকাতা পুলিশ সুবীর-খুনের ঘটনায় সরাসরি জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করেছিল বাপি মণ্ডল এবং জাহির গাজি নামে দু’জনকে। তারও আগে মিঠু হালদার নামে এক পরিচারিকাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছিল ডায়মণ্ড হারবারের বাসিন্দা মিঠুই জোড়াখুনের ঘটনাটির মূল চক্রী বলেই।