ক্রমশ কমে যাচ্ছে আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা? কীভাবে বুঝবেন জেনেনিন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রোগ প্রতিষেধন নয় প্রতিরোধই ভালো। অর্থাৎ রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার চাইতে আমাদের বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত রোগের আক্রমণকে পরাস্ত করার ক্ষমতা জোরদার করায়। আর এই কাজে সবচেয়ে কার্যকর হল আমাদের শরীরের ‘ইমিউন সিস্টেম’ বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।

এমনকি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো উচিত করোনা থেকে বাঁচতে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী খাবার যেমন সাহায্য করে শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে তেমনই অনেক ব্যায়ামও আছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য। কিন্তু বুঝবেন কীভাবে , যে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছে আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। নীচে বর্ণিত সমস্ত লক্ষণ গুলি কী প্রকাশ পাচ্ছে আপনার মধ্যে?১.তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া

১.তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়া

সবাই সকালে খুব সক্রিয় থাকে রাতে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানোর পরে। কিন্তু যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল, তারা পরের দিন খুব অলস এবং ক্লান্ত বোধ করেন ভালো ঘুমের পরও। খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়েন একটু পরিশ্রমেই। এর একমাত্র প্রতিকার হল ব্যায়াম এবং যোগব্যায়াম করা। এই দুটিই শরীরে এনার্জি বাড়ায়, যার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং এটি ক্লান্তি দূর করে এবং শরীরে শক্তি আনে স্নায়ুতন্ত্রকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি।

২.দীর্ঘদিন সর্দি-কাশি

বছরে ২-৩ বার সর্দি হওয়া সাধারণ ব্যাপার একজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে। তবে কিছু লোকের দীর্ঘ সময়ের জন্য সর্দি থাকে বা ঘন ঘন সর্দি হয়। ঠান্ডার সময়,আমাদের শরীর৩ থেকে ৪ দিন সময় নেয় রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলে জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে । ফলে স্বাভাবিক ঠান্ডার সময় ৩-৪ দিন সর্দি কাশি থাকা । তবে আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে সর্দি কাশিতে ভোগেন তাহলে সেটা আপনার দুর্বলতার লক্ষণ।

৩. অবিরাম পেটের সমস্যা

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পর্কিত অন্ত্র এবং পাকস্থলীর সাথেও। তাই কারো পেট খারাপ থাকলে, কখনই তার স্বাস্থ্য ভালো থাকতে পারে না। আপনি যদি নিয়মিত পেটের সমস্যা যেমন ডায়রিয়া, ফোলাভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদিতে ভোগেন তবে এটি হতে পারে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণে।

৪.বেশি চিন্তা করা

দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রথম লক্ষণ হল অতিরিক্ত চাপ। স্ট্রেস সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর । যত বেশি স্ট্রেস নেবেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ততই খুব দুর্বল হবে। কারণ স্ট্রেস শ্বেত রক্তকণিকা ও লিম্ফোসাইটের সংখ্যা কমিয়ে দেয়।এই দুটিই আমাদের শরীরকে সাহায্য করে সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস থেকে রক্ষা করতেও। এমন পরিস্থিতিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ে দীর্ঘ সময় ধরে মানসিক চাপ নেওয়ার ফলে।

৫.শরীরের ক্ষত নিরাময় বিলম্বিত

হাতে বা শরীরে কাটা বা আঘাত পাওয়া সাধারণ বিষয় দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে। ক্ষত সারতে বেশি সময় লাগলে তা হতে পারে দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার কারণেও। আপনার ডায়াবেটিস থাকলে, ক্ষত নিরাময়ে বিলম্ব হয়। তাই অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।

৬. মুখের আলসার

জিহ্বা বা গালের ভেতরের অংশে কামড় বসিয়ে দিলে মুখে আলসার হতে দেখা যায়। তবে কারণে অকারণে ঘন ঘন আলসার হওয়াও দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার লক্ষণ। এছাড়া মানসিক চাপে থাকলেও মুখে ঘা হতে পারে। সেটাও প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হওয়ার লক্ষণ।

৭.জয়েন্টে ব্যথা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নাজুক হলে আপনি রক্তনালীতে প্রদাহ, ভ্যাসকুলাইটিসের সমস্যায় ভুগতে পারেন। এতে করে পেশীতে ব্যথা হবে।

৮. অ্যালার্জির সমস্যা

প্রায় অনেকের মধ্যেই মরসুমে অ্যালার্জির সমস্যা দেখা যায় । যার কারণে মরসুম বদলের সময় জ্বর হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে তাদের মধ্যে । যদি আপনার চোখ দিয়ে সব সময় জল পড়তে থাকে, কোনও খাদ্যের প্রতিক্রিয়ার ফলে ত্বকে ফুসকুড়ি, জয়েন্ট পেইন এবং পেটের সমস্যাগুলি দেখা দেয়, তবে এটি আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকার লক্ষণও হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *