ক্রমশ সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ছে হেমন্তের হিমেল হাওয়ায়, এই সব ঘরোয়া টোটকা মেনে চলুন সুস্থ থাকতে
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তৃতীয়ার দিন থেকেই শুরু হয়েছে কার্তিক মাস। আর এই কার্তিক মাসকে দামোদর মাসও বলা হয়। প্রতি বছর পুজো হয় আশ্বিন মাসে। এবার পুজো হচ্ছে কার্তিক মাসে। আকাশে -বাতাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন এখনই বেশ ভালমত টের পাওয়া যাচ্ছে। মুখ-ত্বক শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে। সকাল হলেই ঠাণ্ডা হাওয়া। এমনকী রাতেও বেশ একটা শিরশিরানি টের পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙগে সর্দি-কাশির প্রকোপও বাড়ছে। সঙ্গে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ তো আছেই। এই ঠাণ্ডা পড়লেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বিপজ্জনক হয়ে ওঠে, যা ফুসফুসে শ্লেষ্মা তৈরি করে। যে কারণে কাশি হয়। ফুসফুসে কফ জমে থাকা মোটেই ভাল ব্যাপার নয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে নিউমোনিয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই কফ-কাশি থেকে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন।
কোভিডের প্রকোপ আগের থেকে কমলেও নতুন এক ভাইরাসের আগমন বার্তা দিয়েছেন চিকিৎসকরা। যেহেতু শীতেই বাড়ে এই ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। সেই সঙ্গে রোজ নিয়ম করে কিছু খাওয়া-দাওয়া করতে হবে। ফ্রিজের জল, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক এসব একেবারেই চলবে না। পরিবর্তে বার বার চুমুক দিন আদা চায়ে। ইষদুষ্ণ জল খান। এতে শরীরেরই উপকার হবে।
এই শ্বাসকষ্ট, কাশি, কফ থেকে মুক্তি পেতে চুমুক দিন তুলসি-পুদিনার চায়ে। কাশি হলে পুদিনা ও তুলসীর চা বানিয়ে পান করুন। এই প্রতিকারটি শুধুমাত্র কাশি থেকে তাত্ক্ষণিক উপশমই দেয় না বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। সেই সঙ্গে শ্বাসকষ্ট থেকেও মিলবে মুক্তি। এছাড়াও ইষদুষ্ণ জলে নুন মিশিয়ে গার্গল করতে পারেন। এতেও আরাম পাবেন।