গড়িয়াহাট থেকে পুলিশ কুকুর গেল বালিগঞ্জ স্টেশনে, আততায়ীরা কি ট্রেনে করে পালায় জোড়া খুনের পর? ইঙ্গিত সেদিকেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : হত্যাকারীরা কি তবে ট্রেনে করে পালিয়ে গিয়েছিল গড়িয়াহাটে জোড়া খুন করে? তদন্তে নেমে পুলিশ কুকুর দিচ্ছে একরকম সেই ইঙ্গিতই। অন্য দিকে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে তাদের হাতে আততায়ীদের সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য এসেছে বলেও। লালবাজারের হোমিসাইড শাখা তদন্তভার নিয়েছে কাঁকুলিয়া রোডের একটি তিনতলা বাড়িতে সুবীর চাকি ও তাঁর গাড়ির চালক রবীন মণ্ডলকে খুনের ঘটনার। মঙ্গলবার সকালে তদন্তকারীরা ঘটনাস্থলে পুলিশ কুকুর নিয়ে যান। কুকুর রাস্তা ধরে ছুটতে শুরু করে কিছু ক্ষণ বাড়ির আশপাশে ঘোরাঘুরির পরে। গিয়ে থামে সোজা বালিগঞ্জ স্টেশনে। আবার গড়িয়াহাট ফিরে আসে সেখানে ১ ও ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে কিছু ক্ষণ ঘুরে। তার থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, খুনের পরে হয়তো খুনিরা পালিয়ে গিয়েছে বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে। পুলিশ খতিয়ে দেখছে এমনকি স্টেশনের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ।
সুবীর ও রবীনের দেহ ভাল করে পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা এও জানিয়েছেন, গলার গভীর ক্ষত ও কোপ মারার ধরণ দেখে বোঝা যাচ্ছে খুনিরা পেশাদার। নিহতদের শরীরে রয়েছে প্রতিরোধের চিহ্নও। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান আততায়ীর সংখ্যা ছিল দুই বা তার বেশি। তদন্তকারীদের একাংশের মতে, এই ঘটনায় জড়িত সুবীরের পরিচিত কেউই। চালক চিনতে পেরেছিলেন বলেই হয়তো নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে তাঁকে।