গণতন্ত্রের জন্য একটা অন্ধকার, ভয়ঙ্কর দিন আজ , এক্স হ্যান্ডেলে এমনটাই লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী
বেস্ট কলকাতা নিউজ : দিল্লির কৃষি ভবন থেকে আটক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা।অভিযোগ, মহিলাদেরও টেনে হিঁচড়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সূর্যাস্তের পর। সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে তো চ্যাংদোলা করে নিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রের অধীনে থাকা দিল্লির পুলিশ। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাত ঠিক ১১টা ৪৫। এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লিখলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের জন্য একটা অন্ধকার, ভয়ঙ্কর দিন।’ একইসঙ্গে রবীন্দ্রনাথকে ধার করে লিখলেন, ‘আমরা ভয় করব না ভয় করব না, দু’বেলা মরার আগে মরব না, ভাই, মরব না।’ মমতা মঙ্গলবারের ঘটনাক্রমের পর দিনটিকে কালো দিন হিসাবে বর্ণনা করেছেন। বাংলার মানুষের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে বলেও এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন।
১০০ দিনের কাজের টাকা ও আবাসের টাকার দাবি নিয়ে দিল্লিতে তৃণমূলের সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রীরা। মঙ্গলবার যন্তর মন্তরে অবস্থানে বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এরপর পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই কৃষি ভবনে যান তাঁরা। সেখানে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, প্রতিমন্ত্রী প্রথমে দুপুর ১২টায় তাঁদের সময় দিয়েছিলেন। পরে সে সময় বদল করেন। জানান, তিনি দিল্লির বাইরে আছেন। অথচ এদিনই বিকেলে দেখা করেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। অভিষেকের অভিযোগ, এরপর তাঁদের দীর্ঘক্ষণ কৃষি ভবনে বসিয়ে রাখা হলেও দেখা করেননি প্রতিমন্ত্রী। এরপরই তৃণমূলের প্রতিনিধিরা কৃষি ভবনে বসে পড়েন। তাঁদের হঠাতে আসে দিল্লি পুলিশ। এরপরই তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। মহুয়া মৈত্র, দোলা সেন, বিরবাহা হাঁসদাদের গায়ে হাত তোলা হয় বলে অভিযোগ। মহুয়াকে রীতিমতো চ্যাংদোলা করে নিয়ে যায় পুলিশ। টেনে হিঁচড়ে বাসে তুলে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয় অভিষেকদের। এদিনের ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এক্স মাধ্যমে লেখেন মুখ্যমন্ত্রী।