গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়
জয়দীপ মৈত্র,দক্ষিন দিনাজপুরঃ দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ জুড়েও ভারী ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস সে কথা সত্যি করে গত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির জেড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত সারা রাজ্যের সাথে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতেও একই পরিস্থিতি। গত কয়েকদিন থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে ছিপছিপে বৃষ্টির সাথে নিম্নচাপ। তার জেরে কার্যত জনজীবন বিপর্যস্ত, এদিকে সারারাত থেকে ছিপছিপে বৃষ্টির জন্য রাস্তায় জল জমেছে স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ তৈরি হয়েছে কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে হাঁটা দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টির দরুন জনজীবন বিপর্যস্ত এদিকে বৃষ্টি হওয়াতে সকলের মাথায় ছাতা যেমন উঠেছে তেমনি তার পাশাপাশি কেউ বৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য রেইনকোট পড়েছেন।
পাশাপাশি যেহেতু এখন করোনা পরিস্থিতি চলছে তার মাঝে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এই দিন দেখা গেল সকাল থেকেই বাসস্ট্যান্ডে বাস গুলো সারি বদ্ধভাবে দাঁড়িয়েছিল যাত্রী কম থাকায় টোটো অটো ও বাস মালিকরা লাভের মুখ কম দেখছেন বলে জানান পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন দোকান দোকানপাটও বন্ধ ছিল সরকারি চাকুরিজীবীরা বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করলেও বৃষ্টির কারনে বাস কম থাকায় প্রবল ভিড়ে ঠেলাঠেলি করে বাদুড়ঝোলা হয়ে প্রায় ভিজতে ভিজতে তাদের কর্মস্থলে পৌঁছান এ বিষয়ে গঙ্গারামপুরের এক সরকারি চাকুরীজীবি এক কর্মী নারায়ন সরকার বলেন গত দুদিন থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়াতে গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি মিললেও তার সাথেই বিরক্তিকর নিম্নচাপের বৃষ্টি যার জেরে সত্যি আমরা ভীষণ ভাবে বিপর্যস্ত খুব অসুবিধার মধ্যে পড়েছি জানিনা কয়দিন এরকম থাকবে তবে এই বৃষ্টির জন্য গরম আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ায় বেশ আরামদায়ক বলাই বাহুল্য।
নিম্নচাপ বৃষ্টির জেরে চাষের জমি সহ শাকসবজির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানান জেলার একাংশ কৃষকরা তারা জানান, টানা বৃষ্টির ফলে চাষের জমি বৃষ্টির জলে ভরে গেছে যার ফলে চাষের জমি ফলন পচার আশঙ্কা করছেন চাষিরা পাশাপাশি যে ফলন গুলো অর্থাৎ ধান ও অন্যান্য জমির ফসল এই বৃষ্টির জেরে ক্ষতির মুখে পড়ছে যার জেরে এবার তারা খুব একটা লাভবান হবেন না বলে আশংঙ্কা করছেন কৃষকরা তাদের বক্তব্য এ বৃষ্টি হওয়াতে জল চাষের জমিতে জমে উঠছে যার ফলে এই জলে ধান অন্যান্য শাকসবজি পঁচতে শুরু করবে যার জন্য আমরা ক্ষতির মুখে পড়বো জানি না প্রকৃতির এই লীলা কবে বন্ধ হবে। পাশাপাশি, যেভাবে বৃষ্টির সাথে ঠান্ডা হিমেল হাওয়া জানান দিচ্ছে।
বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে অনেকেই অফিস, ব্যবসা পত্র বন্ধ করে মজে উঠেছে পিকনিক করাতে এই পিকনিকের মেনুও বেশ লোভনীয় ও সুস্বাদু খিচুড়ি পাপড় ভাজা বেগুনি চাটনি মিষ্টি সহ কচি পাঁঠার মাংস এই পিকনিকে রসিক বাঙালি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পিকনিক করেছেন তবে কিছু কিছু মানুষের দাবী যে যাই বলুক না কেন বৃষ্টির সাথে গরম তপ্ত আবহাওয়া থেকে যে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে তা বলাই বাহুল্য, একটু অসুবিধা হলেও এই পরিবেশটাই কিন্তু বেশ মজার লাগছে তবে হাওয়া অফিস কি বলছে তা শুধু জানার বাকি আমরা বুঝতে পারছি এই বৃষ্টি শেষ হলে আবার গরম পড়বে সারা রাজ্য সহ আমাদের জেলাতেও।
আপাতত বৃষ্টিতে বিরক্তিকর জনজীবন যেভাবে বিপর্যস্ত তাতে অনেকে ঘরে বসেই দিন কাটিয়ে দিচ্ছে কবে এই বৃষ্টি থামবে তা জানার অপেক্ষায় সাধারণ মানুষেরা বৃষ্টির সঙ্গে একাংশ মানুষ আনন্দে মজেছেন তা বলাই বাহুল্য রাস্তায় বৃষ্টিতে ভিজে কাক ভেজা হয়ে অনেকেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন তাদের কর্মস্থল থেকে দোকানপাটও এদিন সকাল সকাল বন্ধ হয়ে যায় গঙ্গারামপুর এলাকায় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ব্যস্ততম শহর এই গঙ্গারামপুরে প্রতিদিন যে পরিমাণে মানুষের ভিড় ও যানজট সৃষ্টি হয় তা সকাল থেকেই চিত্রটা পাল্টে গেছে ।
সকাল থেকেই বৃষ্টির জেরে দোকানপাট বন্ধ ছিল যাত্রীরা অনেকে বাড়িমুখো হয়েছেন আর অনেকেই বাড়িতে বসে গরম খিচুড়ি খাওয়াতে ব্যস্ত তবে এই টিপ টিপ বৃষ্টি সঙ্গে ঠান্ডা আবহাওয়ায় যে যাই বলুক না কেন সব থেকে বেশি আনন্দে মজেছেন মদ পিপাসুরা, এদিন সকাল থেকেই শহরের লাইসেন্সপ্রাপ্ত মদের দোকান গুলিতে ভিড় ছিল দেখার মতো অন্যদিকে পৌর এলাকা ও বিভিন্ন এলাকার ড্রেনগুলি সংস্কার না হওয়ার দরুন জল জমে উঠেছে ড্রেনের নোংরা জল রাস্তায় উঠে আসছে বলে অনেকে অসুবিধায় পড়েছেন পাশাপাশি গ্রামের রাস্তা গুলো বৃষ্টি হওয়ার যে বেহাল হয়ে উঠেছে তাতে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন এত কিছু সমস্যা হলেও কারো কোন বিন্দুমাত্র অভিযোগ নেই কারণ সবাই বৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়েছেন তা এই দিনে তাদের পিকনিক করার আমেজ দেখে বোঝা যাচ্ছে। অন্যদিকে, এসব কিছুকে উপেক্ষা করে অনেকে বাড়িতে ও পিকনিকের আসরে জমিয়ে কব্জী ডুবিয়ে খেতে ব্যাস্ত।