চাকরি হারাদের ব্যাপক বিক্ষোভ ধর্মতলায় ‘ জমায়েত যোগ্য’দেরও , অবশেষে জোর প্রস্তুতি সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ারও

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : স্কুলের চাকরিতে এবার আন্দোলনে নতুন মঞ্চ। এবার আন্দোলনে সদ্য চাকরিহারারা। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করেছে। তাতে গ্রুপ- সি, গ্রপ-ডি, নবম দশম, একাদশ দ্বাদশের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি গিয়েছে। চাকরিহারা হয়েছেন ২৫ হাজার ৭৫৩ জন। তাঁদের মধ্যে অযোগ্যরা যেমন রয়েছেন, যোগ্য প্রার্থীরাও তো রয়েছেন। কিন্তু আদালতের নির্দেশে রাতারাতি চাকরিহারা তাঁরাও। এবার তারই প্রতিবাদে আন্দোলনে বসলেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। ধর্মতলায় জমায়েত করেছেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্টেও মামলা করার কথা বলেছেন।

শহরে আজ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি আশপাশে। তীব্র দাবদাহে ফুটছে শহর কলকাতাও । আর সেই তেতে থাকা ‘কড়াইয়ে’ তা দিচ্ছে এই আন্দোলন। রোদের মধ্যে শয়ে শয়ে ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা ধর্মতলায় জড়ো হয়েছেন। এসেছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা-প্রান্ত থেকে। হুগলি থেকে আসা এক শিক্ষক বলেন, “আমরা অযোগ্য সেটা প্রমাণ করে বার করে দিক। আমার বিরুদ্ধে তো কোনও অভিযোগ নেই। ওএমআর ম্যানুপুলেট হয়েছে। এটা কোনও রায় হল? ১৯ হাজারের তো কোনও দোষ নেই। যেখানে বিচার ব্যবস্থাতেই বলা রয়েছে, পাঁচ জন অপরাধী ছাড়া পেয়ে যাক, কিন্তু এক জন নিরপরাধী যেন শাস্তি না পায়। এখানে ১৯ হাজার নিরপরাধী শাস্তি পেয়ে যাবে? কাদের বাঁচানোর জন্য আমাদের বলিতে চড়ানো হয়েছে?” তিনি জানান, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চাইছেন তাঁরা। এই রায় আরও একবার বিবেচনা করে দেখার কথাও বলছেন সদ্য চাকরিহারারা।

আরেক চাকরিহারা প্রার্থী বলেন, “আমার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বলতে পারি, এই রায় একেবারেই অন্যায্য। ১৯ হাজার সৎকে বলি দেওয়া হল ৫ হাজার সৎকে বাঁচানোর জন্য।” আরেকজনের কথায়, “এটা আসলে ঠগ বাঁচতে গিয়ে গাঁ উজাড় হয়ে গেল। আমরা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে এই জায়গায় এসেছি। আমাদের পড়াশোনাটা দেখলেই বুঝতে পারবেন, কীভাবে আমরা এই জায়গায় এসেছি। আমার কাছে আমার ওএমআর শিটও রয়েছে। আমার সঙ্গে আমার বয়স্ক বাবা-মা, আমার আড়াই বছরের ছেলে সবাই অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *