জটিল বাতের ব্যথাও দূর হয়ে যায় এই মন্দিরে গেলে, মনস্কামনা পূরণের জন্য ছুটে যান এমনকি তারকারাও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : শুধু বেশি বয়সের মানুষই নন, বর্তমানে বাতের সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছেন কম বয়সীরাও। অনেক রকম ওষুধ খেয়েও বহু মানুষ কিছুতেই বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি পান না । উঠতে গেলে বসতে গেলে বারবার তারা কুঁকড়ে যাচ্ছেন যন্ত্রণায় । বিশেষ করে মহিলারা এই ব্যথায় সারা বছর কম বেশি কাবু হয়ে থাকেন। আমাদের রাজ্যে এমন এক মন্দির আছে যেখানে মনস্কামনা তো পূরণ হয়। তাছাড়া বাপের ব্যথা দূর হওয়ার জন্য ঐ মন্দিরে ছুটে যান লক্ষ লক্ষ ভক্তরাও।
কিন্তু কোথায় সেই মন্দির? এখানে বিরাজ করেন মহাদেব। মন্দিরটিতে মানুষ আসেন মূলত বহুদূরান্ত থেকে। বাতের ব্যথা অন্যান্য রোগের ওষুধ এখানে দেওয়া হয়। যা বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেও ছাড়ে না। অগণিত মানুষ এখান থেকে সুস্থতা লাভ করেছেন । সারা বছর এই মন্দিরে ভক্তরা ছুটে আসেন বহু দূর-দূরান্ত থেকে। তাঁদের মধ্যে অনেকে আবার আসেন বাতের ব্যথার মতো রোগ সারানোর প্রার্থনা নিয়ে। যা সারে না মূলত বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও । সেই বাত রোগও দূর হয় এই মন্দিরে। ভেষজ ওষুধও দেওয়া হয়। স্বপ্নাদেশে পাওয়া সেই ওষুধের মাধ্যমে বাতের ব্যথার চিকিৎসা হয় নামমাত্র মূল্যে। এমনকী মন্দির চত্বরে রেখে বাতের ব্যথার চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে । এখানে প্রায় ১০০ রোগীকে রেখে চিকিৎসা করানোর ব্যবস্থারয়েছে।
সোম থেকে রবিবারের কোনো বিচার এখানে নেই। প্রতিদিন বহু ভক্ত এখানে শিবলিঙ্গে জল ঢালতে আসেন। আর, শ্রাবণ মাসে তো তিল ধারণের কোনো জায়গা থাকে না মন্দির চত্বরে । ভক্তদের বিশাল ঢল নামে এখানে । এখানে বছরে একাধিকবার মেলাও বসে। মন্দির চত্বরের সামনে রয়েছে পুকুর। যার জল বেশ পরিষ্কার। সেই জলে হাত-পা-মুখ ধুয়ে অথবা স্নান করে ভক্তরা প্রবেশ করে থাকেন এই মন্দিরে।
কিন্তু আমাদের রাজ্যে কোথায় রয়েছে এই মন্দিরটি? পশ্চিম মেদনীপুর জেলার গরবেতা ব্লকের রসকুন্ডুর বাবা বসন্ত রায় মন্দির। যেখানে গোপনে অভিনেতা অভিনেত্রীরা ছুটে যান মনষ্কামনা পূরণের জন্য। গরবেতা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রসকুণ্ড। যারা গনগনির দিকে যাবেন তারা যাওয়ার পথে ঘুরে যেতে পারবেন এই মন্দিরে। মন্দির চত্বরেই দেবতার সাজানো ডালা বিক্রি হয়। তার বিভিন্ন দাম আছে। সেই ডালা অন্য কাউন্টারের মাধ্যমে পৌঁছে যায় মূল মন্দিরে। তারকেশ্বরের মন্দিরের ভক্তরা যেমন বলে ওঠেন বাবা তারকনাথের চরণে সেবা লাগে বাবা মহাদেব। সেই একইভাবে বসন্ত রায়ের মন্দিরেও ভক্তরা বলেন বাবা বসন্ত রায়ের চরণে সেবা লাগে বাবা মহাদেব।