আমেরিকান ই-কমার্স গ্রাস করে নিচ্ছে ছোট ব্যবসাকে, মন্ত্রীর নিশানায় কি অ্যামাজন,ওয়ালমার্ট? জল্পনা তুঙ্গে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাইক্রোব্লগিং সাইট থেকে এ বার অবশেষে ভারতের সঙ্ঘাত গড়াল আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থার সঙ্গে।কেন্দ্র্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রী পীযূষ গয়াল নাম না করে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন অ্যামাজন, ওয়ালমার্ট অধীনস্থ ফ্লিপকার্টের মতো অনলাইন পণ্য সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে। তাঁর আরো অভিযোগ, আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থাগুলি ভারতে ব্যবসা করছে একরকম শিকারি দৃষ্টি নিয়ে। ইচ্ছে করে তারা জিনিস বিক্রি করছে কম দামে। আর তাতেই মার খাচ্ছে দেশের অভ্যন্তরীণ ছোট ব্যবসাগুলি।

গয়াল একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে তীব্র সমালোচনা করেন ভারতে ব্যবসা করতে আসা আমেরিকার ই-কমার্স সংস্থাগুলির। তিনি এও বলেন,ভারতে ব্যবসা করতে এসেছে ”একাধিক ই-কমার্স সংস্থাও। কিন্তু তারা নানা ভাবে অবজ্ঞা করেছে এ দেশের আইনকে। এ নিয়ে একাধিক বার কথা হয়েছে সংস্থাগুলির সঙ্গে, বিশেষত আমেরিকার সংস্থাগুলি। কিন্তু ওদের বড্ড দম্ভ।”

কোন আইন লঙ্ঘন করেছেন বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলি , গয়াল তা যদিও খোলসা করেননি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে যখন ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি ধুঁকছে, তীব্র সমালোচনা করছে কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকারও, ঠিক সেই সময়ই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গয়াল কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বিদেশি ই-কমার্স সংস্থাগুলিকেই ।এমনকি আগেও তদন্তের দাবি উঠেছে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের ব্যবসায়িক নীতি নিয়ে। বিষয়টি এখনও ঝুলছে আদালতে। তার মধ্যেই টানাপড়েন শুরু হয়েছে কেন্দ্রের নতুন ই-কমার্স নীতি নিয়ে, যাতে নিয়ন্ত্রণ টানা হয়েছে যখন তখন বড় রকমের ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে। যদিও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ খারিজ করেছে অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্ট, কিন্তু তারা কোনও প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হয়নি গয়ালের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *