টাকার জন্য আর মৃতদেহ আটকে রাখা যাবে না, হাসপাতালগুলিকে সময়ও বেঁধে দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : রোগী অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। তবে হাসপাতালের বিল বাকি রয়েছে। এই অজুহাতে মৃতদেহ আটকে রাখার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এবার এই নিয়ে অবশেষে কড়া নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, বিলের টাকা না মেটালে মৃতদেহ আটকে রাখা যাবে না। মৃতদেহ পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ও বেঁধে দিল কমিশন। আর এই নির্দেশিকা না মানলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপও করা হবে বলে জানিয়ে দিলস্বাস্থ্য কমিশন ।

মূলত বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ওঠে। তার মধ্যে অন্যতম হল বিল বাকি থাকায় মৃতদেহ আটকে রেখে রোগীর পরিজনদের হয়রানির অভিযোগ। স্বাস্থ্যবিমার টাকা না পৌঁছনোর জন্যও অনেক সময় মৃতদেহ আটকে রাখা হয়। এই নিয়েই এবার নির্দেশিকা জারি করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন বা স্বাস্থ্য কমিশন। নির্দেশিকা আরো বলা হয়েছে, রোগীর মৃত্যুর পর যত দ্রুত সম্ভব মৃতদেহ ছাড়তে হবে। সর্বোচ্চ ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালগুলিকে। তা না হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে বলে ওই নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। কমিশনের নির্দেশ না মানলে এমনকি হাসপাতালের লাইসেন্সও বাতিল হতে পারে।

তবে কোনও কারণে মৃতদেহ ছাড়তে ৫ ঘণ্টার বেশি সময় লাগলে, যথাযথ নথি রাখতে হবে। কমিশনকেও এই বিষয়ে জানাতে হবে। আবার কোনও মৃতের পরিজন যদি মৃতদেহ ওই নির্দিষ্ট সময়ের বেশি মর্গে রাখার জন্য লিখিত আবেদন জানান, সেক্ষেত্রে হাসপাতালের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এই নির্দেশিকা নিয়ে স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কোনও রোগী যদি হাসপাতালে মারা যান, তাহলে দ্রুত দেহ ছাড়তে হবে। টাকার জন্য দেহ আটকে রাখা যাবে না। আমাদের আইনেই তা রয়েছে। তারপরও এদিন আবার স্মরণ করে দিয়েছি। যদি ৫ ঘণ্টার বেশি মৃতদেহ আটকে রাখা হয়, আমরা ব্যবস্থা নেব।” প্রসঙ্গত, গত ১২ অগস্ট একবালপুরে এক বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর পর ১৫ ঘণ্টা দেহ আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে । সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন এই নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য কমিশন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *