ঠং করে আওয়াজ এলো মেট্রোর কাজে মাটি খুঁড়তে গিয়েই ! বেরিয়ে আসলো প্রচুর গুপ্তধন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মেট্রোর কাজ করার সময় মাটি খোঁড়া হচ্ছিল। হঠাৎ করেই ঠুংঠাং করে আওয়াজ আসতে থাকে। সেখানে উপস্থিত থাকা কর্মীরা প্রথমে বুঝতে পারেননি ঠিক কি ঘটতে চলেছে। আরেকটু মাটি খুঁড়তেই বেরিয়ে আসে বিশাল গুপ্তধন, যা দেখে হতবাক সবাই। উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় দশ হাজার নিদর্শন। তখন মেট্রোর কাজ এখন আর কোথায়? সবাই শোরগোল ফেলে দিয়েছে রহস্যজনক সেই গুপ্তধন নিয়ে। প্রশাসনের তরফ থেকে সেই সম্পদ খোঁড়ার কাজ চালানো হয়। যদিও ঘটনাটি সাম্প্রতিক নয়, এটি ১৫ বছর আগে ঘটেছিল আমস্টারডামে ।
মাটির নিচে থাকা সমস্ত সম্পদ উদ্ধার করতে সময় লেগেছে প্রায় কয়েক বছর। রোকিন স্টেশনে মেট্রোর কাজ চলছিল। তখনই এই ঘটনাটি ঘটে। রোকিন শহর রয়েছে আমস্টেল নদীর ধারে। অনুমান করা হচ্ছে, প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্যবান নিদর্শন গুলি আমস্টেল নদীর জলে ভেসে ওই এলাকায় জমা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কালের নিয়মে তা পলির গভীরে জমা পড়ে। যার প্রত্যেকটি জিনিস গৌরবময় ইতিহাসের নিদর্শন।
নিদর্শন গুলি রাখা হয়েছে ওই মেট্রো স্টেশনের ভূগর্ভস্থ প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে। যে জিনিসগুলি পাওয়া গেছে তার মধ্যে রয়েছে প্রায় এক লক্ষ পনেরো হাজার বছরের পুরনো ঝিনুকের খোল, নানান বিনোদনের জিনিস, পোশাকের টুকরো, শিল্প এবং কারুকার্য, ছোট মূর্তি, বাড়ি নির্মাণের জিনিস, অস্ত্র, বর্ম, খেলা প্রভৃতি। এছাড়াও প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো মুদ্রাও রয়েছে। যদিও এই প্রথম নয়, এই ঘটনার আগেও প্রায় ৭০ হাজার বছরের পুরনো নিদর্শনের খোঁজ মিলেছিল এই শহরে। পুরনো জিনিসের পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছে কিছু আধুনিক জিনিস। যেমন মোবাইল ফোন আর চুরুটের পাইপ। তাই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় ছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। কারণে এত কম সময়ের মধ্যে মোবাইল ফোন মাটির নিচে চলে যাওয়া একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তাহলে কি আমস্টারডামের মাটি ধসে যাচ্ছে?
কাজ করার সময় যে পরিমাণে খরচ বরাদ্দ করা হয়েছিল পনেরো বছর আগে গুপ্তধন পাওয়ার কারণে খরচের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়। যদি রোকিন স্টেশনে যান দেখবেন ভূগর্ভস্থ একটি জাদুঘর রয়েছে আশ্চর্য সব জিনিস। বহু মানুষ আছেন তারা শুধুমাত্র এই জাদুঘরের উদ্দেশ্যে রোকিন স্টেশনের উদ্দেশ্যে স্টেশনে এসে জড়ো হন। এই জাদুঘরে রাখা প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলি ঐতিহাসিক ভাবে গুরত্বপূর্ণ, তবে আর্থিক মূল্য খুব একটা বেশি নয়।