তফসিলি জাতির কচিকাঁচারা প্রাইমারি স্কুলে আলাদা খায় যোগী রাজ্যে , তুঙ্গে উঠল ব্যাপক বর্ণবৈষম্য
বেস্ট কলকাতা নিউজ : উত্তরপ্রদেশের মাইনপুরি জেলার দাউদাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা এখানে হাতেগোনা। এই প্রাইমারি স্কুলে পড়ে মাত্র ৮০ জন। কিন্তু এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল এই ছোটখাটো স্কুল থেকেই। দাউদাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬০ জনই তফসিলি জাতিভুক্ত ৮০ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে। আর তাই স্কুলে নিয়মকানুন আলাদা সেসব কচিকাঁচাদের জন্যও। এই ৬০ জনের আলাদা পাত্র রাখা আছে এমনকি খাওয়া-দাওয়ার জন্যও। তাদের রান্নাও হয় অন্যত্র, আলাদা রেখে বাকি ২০ জন ছাত্রছাত্রীর থেকেও।
স্কুলে এই রেওয়াজ চলে আসছে প্রথম থেকেই। তবে তা সামনে এসেছে সম্প্রতি কালে, কারণ কিছুদিন আগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এই ব্যাপারে। এদিকে প্রশাসনও পদক্ষেপ করেছে এমনকি ঘটনা জানাজানি হতেই। সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকেও। অভিযোগ পেয়ে নিজের চোখে স্কুলটির ব্যবস্থাপনা দেখে এসেছেন সরকারি আধিকারিকরাও। ওই শিক্ষিকাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তারপরই। শুধু তাই নয়, যাঁরা ওই স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড ডে মিল রান্না করেন, তাঁদের প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা স্পর্শ করতে পারবেন না তফসিলি জাতিভুক্ত পড়ুয়াদের থালা বাসনও।
একথা শোনার পর তাঁদেরকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে খবর। আরও জানা গেছে, এই স্কুলের রীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার নতুন সরপঞ্চ মঞ্জু দেবীর স্বামী সাহেব সিং। তখনই সব কিছু সামনে এসেছে। সাহেব সিং আরও জানিয়েছেন, তাঁর কাছে অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন ওই স্কুলে পাঠরত কিছু পড়ুয়ার বাবা মা।তিনি বিষয়টি যাচাই করে এসেছিলেন নিজে স্কুলে গিয়েও। তারপর তিনি এই ব্যবস্থা বন্ধ করতে বিশেষ উদ্যোগী হন।