দল করছি ২০ বছর ধরে , একটুও সম্মান দেন না এলাকার বিধায়ক’, এবার ‘দিদির দূতের’ দ্বারস্থ হল খোদ তৃণমূল কর্মীরাই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : তৃণমূলের নেতারা জেলায় জেলায় প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ছেন দিদির দূত’ কর্মসূচি শুরু হতেই। প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এমনকি নদিয়ায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুর্শিদাবাদে জীবনকৃষ্ণ সাহা, আবু তাহের খান, ঝাড়গ্রামে বীরবাহা হাঁসদা, পুরুলিয়ায় অর্জুন সিংকে তুমুল । হাসনে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। এবার বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মালকে প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়তে হল দিদির দূত কর্মসূচিতে গিয়ে ।
দিদির দূতেরা সরকারি প্রকল্পের কথা বলবে, মানুষের সাধারণ সমস্যার কথা শুনবেন, কথা ছিল তেমনটাই। কিন্তু সাংসদের সামনেই দলের অন্দরের ক্ষোভ, না পাওয়াকেও উগরে দিতে দেখা গেল। অভিযোগ, এলাকারই কিছু লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদের সামনেই , ‘বিধায়ক তো এলাকায়ই আসেন না। ভোটের আগে চিনতেন। ভোটের পর ফোনও ধরেন না ফোন করলে।’ গাড়ির কাচ তুলে বেরিয়ে যান বলেও তৃণমূল কর্মীদের একাংশ অভিযোগ করেন। শনিবার বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল বীরভূমের ময়ূরেশ্বর বিধানসভা এলাকায় ‘দিদির দূত’ কর্মসূচিতে যান ।
সেখানে ময়ূরেশ্বরের উজপুর গ্রামে গেলে তৃণমূল কর্মীরা অসিত মালের সামনে তাদের যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, ময়ূরেশ্বরের বিধায়ক অভিজিৎ রায়কে দেখাই যায় না। নিজেকে তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে নবকুমার দাস এও বলেন, “২০ বছর ধরে দল করছি। দলে এসেছিলাম সিপিএম ছেড়ে। কোনও জিনিস পাই না। একটা কথা বলে না, একটু সম্মান দেয় না। বিধায়কের জন্য মিটিং করেছি গ্রামে গ্রামে গিয়ে । ৫২টা গ্রামে গিয়েছি।” মূলত যে দিদির দূতেরা সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, মানুষের সমস্যা শুনতে বেরিয়েছেন, তাঁদেরও কিছুটা বিড়ম্বনাতেই পড়তে হল। তাও আবার দলের কর্মীদের কাছেই।
এদিকে বাসুদেবপুর প্রাথমিক হাসপাতালে গিয়েও একই পরিস্থিতি হয়। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলে ক্ষোভের মুখে পড়েন অসিত মাল। সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেন, হাসপাতালে কোনও পরিষেবা পাওয়া যায় না। ছোটখাটো বিষয় হলেও সিউড়ি এবং রামপুরহাট হাসপাতালে রেফার করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁরা ময়ূরেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন।