দাঁড়িয়ে পড়েন বিড়াল রাস্তা কাটলে ,ঠিক না ভুল? এবার জেনে রাখুন অবাক করা সত্যিটা
বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিভিন্ন বিষয় নানান রকম সংস্কার আমাদের সমাজে প্রচলিত আছে। তার মধ্যে একটা হল বিড়ালের রাস্তা কাটা। ধরুন আপনি কোথাও যাচ্ছেন সেই সময় রাস্তা পেরলো একটা বিড়াল যা অত্যন্ত অশুভ বলে মনে করা হয়। অনেকেই অশুভ কাটানোর জন্য রাস্তায় থুতু ফেলে এগিয়ে যায়। এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্ম এই বিশ্বাস গেঁথে আছে অনেক মানুষের মনে । তবেই বিশ্বাস করে ওঠার পেছনে কি কারণ তা কখনো ভেবে দেখেছেন? সত্যি বিড়ালের রাস্তা কাটা কি অশুভ?
অথচ আপনি জানলে অবাক হবেন এই বিড়াল কে সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচনা করা হয় বিশ্বের কিছু দেশে। তাদের কাছে বিড়াল কিন্তু দারুন শুভ। আবার ভারতবর্ষের অনেক রাজ্যে বিড়ালকে শুভ মনে করা হয়। এবং বিড়ালের পুজো করা হয়। বিড়ালকে ঘিরে বেশ কিছু শুভ অশুভ ধারনা প্রচলিত আছে ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই । আপনিও যদি বিড়াল পথ অতিক্রম করার সময় দাঁড়িয়ে পড়েন বা অন্য পথ নিয়ে নেন তাহলে পিছনের কুসংস্কারের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক কারণটিও জেনে নিন।
এর পিছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ প্রথম কারণ, জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে রাহুকে অশুভ গ্রহ বলে মনে করা হয়। রাহুর প্রভাবে জীবনে নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। দুর্ঘটনার যুগ আসতে পারে রাহুর প্রভাবে। বৈদিক জ্যোতিষ অনুসারে বিড়াল হল রাহুর বাহন। এই কারণেই বিড়াল পথ কাটলে তো অশুভ বলে মনে করা হয়। কারণ বিড়াল পথ কাটছে মানে সেখানে রাহুর প্রভাব রয়েছে। রাহু যেমন দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে তেমন বিড়াল রাস্তা কাটলে তার জন্য দুর্ঘটনা হতে পারে।
দ্বিতীয় কারণ, হিন্দুধর্ম অনুসারে সম্পদের দেবী, লক্ষ্মীর বোন হলেন অলক্ষী। এই অলক্ষ্মী দরিদ্রের দেবী। বিড়াল অলক্ষ্মীর বাহন বলে মনে করা হয়। তাই বিড়াল হলো অশুভ আর সংকটের প্রতীক। তবে দীপাবলির দিন ঘরে বিড়ালের প্রবেশ শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন ঘরে বিড়াল প্রবেশ করলে সমৃদ্ধির আগমন ঘটে বলে মনে করা হয়।
বিজ্ঞান কিন্তু অন্য কথা বলে। বিড়াল ইঁদুরসহ অনেক পোকামাকড় খায়। যার কারণে বিড়াল বাড়িতে এলে এখানে সেখানে ঘোরাফেরা করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তাই মানুষ বিড়াল থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে পছন্দ করেন। প্লেগ মহামারী এড়াতে একটা সময় বিড়াল রাস্তা পার হওয়ার সময় চলাচল বন্ধ করার নিয়ম চালু হয়েছিল। আসলে বিড়াল ইঁদুর খায় এবং ইঁদুরের মাধ্যমে প্লেগ রোগ ছড়ায়। বিড়াল পথ অতিক্রম করলে থামার এটাই বৈজ্ঞানিক কারণ। কালক্রমে যা কুসংস্কারে পরিণত হয়। এছাড়া আগেকার যুগে যখন বিদ্যুৎ ছিল না তখন মানুষ যে কোনো পশু পথ দিয়ে যাওয়ার সময় কিছুক্ষণের জন্য থেমে যেত যাতে প্রাণীটি সহজভাবে পথ অতিক্রম করতে পারে এবং এতে যাতে কারোর কোনো ক্ষতি না হয়।