ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে, প্রেমের দোকান খুলেছে কর্ণাটকে, রাহুল গান্ধী এমনি প্রতিক্রিয়া দিলেন কংগ্রেসের বিপুল জয়লাভ প্রসঙ্গে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

কর্ণাটকে ভোটের চিত্রটা পরিষ্কার হয়ে যেতেই উঠে এসেছে অন্য প্রশ্ন। সিদ্দারামাইয়া নাকি ডিকে শিবকুমার? কংগ্রেস কাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবে? সেদিকেই এখন সবার নজর। বিজেপি ৭০টিরও কম আসন পাচ্ছে। এটা ধরে নিয়েই শুরু হয়েছে, পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সেই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা। মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোম্মাই স্বীকার করে নেয় যে দল ভালো পারফরম্যান্স করতে পারেনি।

এদিকে নয়াদিল্লিতে কংগ্রেস সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী বলেন, ‘নফরত কি বাজার বন্ধ হো গই হ্যায়, মহব্বত কি দুকান খুল গই হ্যায়। (ঘৃণার বাজার বন্ধ হয়েছে, ভালোবাসার দোকান খুলেছে)।’ শনিবার ঘোষিত ফল অনুযায়ী, কংগ্রেস ১৩৫টি আসনে জিতেছে বা এগিয়ে আছে। উপকূলীয় অঞ্চল ছাড়া কর্ণাটকের সমস্ত অঞ্চলেই বিজেপির চেয়ে কংগ্রেস বেশি আসন পায়। কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডিকে শিবকুমার কনাকাপুরা আসন থেকে জয়ী হয় ৭০ শতাংশর বেশি ভোট পেয়ে। আর বাসভরাজ বোম্মাই জয়ী হয় শিগগাঁও আসনে ।

তবে, এতকিছুর পরও কংগ্রেস এবার অতিরিক্ত সতর্ক। কারণ তারা ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না। সেবার কংগ্রেস এবং জেডি (এস) একত্রিত হয়েছিল। যার ফলে সরকার গঠনের জন্য ১১৬ জন বিধায়ক (কংগ্রেস ৭৬, জেডি-এস ৩৭ ও তিন জন স্বতন্ত্র) তারা সংগ্রহ করেছিল। যাইহোক, এই সরকার শুধুমাত্র একবছর টিকে ছিল। কারণ, কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট তাদের ১৭ জন বিধায়ককে হারিয়েছিল। এই বিধায়করা মুম্বইয়ের একটি রিসর্টে আটকে থাকার পরে পক্ষ পরিবর্তন করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কর্ণাটকের বিজেপি নেতা বিএস ইয়েদুরাপ্পা তারপর মুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু, তিনি ২০২১ সালের ২৬ জুলাই পদত্যাগ করেন। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন বাসভরাজ বোম্মাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *