দু’বছর বায়না বন্ধ করোনার থাবায়, মালদহের গম্ভীরা শিল্পীদের পেশা-বদল পেটের তাগিদেই
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কোনো কাজ নেই বিগত দু’বছর ধরে। বছর খানেক আগে কাজের বায়না পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু সবই বাতিল করতে হয়েছে করোনা আবহে। তাই পেটের খিদে মেটাতে অনেকেই বদলে ফেলেছেন তাদের পেশা। লোকশিল্পীর তকমা মুছে কেউ এখন রাজমিস্ত্রী, কেউ আবার ভ্যান রিক্সাচালক। কেউ বা ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন কাজের খোঁজে।তবে মন ভালো নেই। কারণ পুজো আসছে। এ বছরও জোটেনি কাজের বরাত। করোনা আবহে তাই একরকম হতাশায় ডুবে মালদহের গম্ভীরা ও মানব পুতুল নাচের শিল্পীরা । তাঁদের অনুষ্ঠান বন্ধ রয়েছে প্রায় দু’বছর ধরে।
খুবই পরিচিত মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের মানিকপুর এলাকার মানব পুতুল নাচ। শিল্পী হিমাংশু মণ্ডল বলেন, ” তাঁরা প্রথম অন্বেষা সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে মানব পুতুল নাচ শুরু করেন ২০০৫ সালে।” বাংলার পাশাপাশি অনুষ্ঠান হয় অন্য রাজ্যেও।এমনকি পেয়েছেন একাধিক ট্রফি-শংসাপত্রও । এদিকে শিল্পীর পরিবার বিপন্ন লকডাউনে দিনের পর দিন কোনও অনুষ্ঠান বা সরকারি অনুষ্ঠান না পাওয়ায়।আর এক শিল্পী মুরলীরাম মণ্ডল জানান, ”আমি একজন মানব পুতুল শিল্পী। কিন্তু বর্তমানে পেট চালাচ্ছি দিনমজুরি করে। কোনও অনুষ্ঠান পাইনি লকডাউনের পর থেকে। তাই দিনমজুরি করতে হচ্ছে পেটের তাগিদে পরিবার বাঁচাতে।”সকলের একটাই প্রার্থনা, পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটুক। মালদহের লোকশিল্পীরা নেশার টানে আবার মঞ্চে ফিরতে উত্সুক রাজমিস্ত্রীর পেশা ছেড়ে।