না ফেরার দেশে চলে গেলেন অলিম্পিক বিজয়ী হকি অধিনায়ক চরণজিৎ সিং
বেস্ট কলকাতা নিউজ : গভীর শোকের ছায়া নেমে এলো ভারতীয় হকির জগতে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চরণজিত্ সিং প্রয়াত হয়েছেন হিমাচল প্রদেশের উনায় নিজের বাসভবনে ।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। চরণজিত্ সিং অধিনায়ক ছিলেন ১৯৬৪ টোকিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদকজয়ী হকি দলের।
এই কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বয়সজনিত কারণে। পাঁচ বছর আগে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়েছিলেন একটি স্ট্রোকের পর । আগামী মাসে ৯১ বছরে পা দেওয়ার কথা থাকলেও শেষরক্ষা হয়নি। চরণজিত্ সিং অজানার দেশে পাড়ি দিয়েছেন দুই পুত্র ও এক কন্যাকে রেখে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে চরণজিত্ সিংয়ের পুত্র ভিপি সিং জানান – ‘ পাঁচ বছর আগে বাবার প্যারালাইসিস হয়েছিল একটি স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর। উনি হাঁটাচলা করতেন একটি লাঠির সাহায্যে। শেষ কয়েকমাসে অবনতি ঘটে ওনার স্বাস্থ্যেরও।অবশেষে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।
চরণজিত্ সিং দক্ষ মিডফিল্ডার হিসাবে পরিচিত ছিলেন এমনকি নিজের খেলোয়াড়জীবনেও। ১৯৬০ অলিম্পিকে রুপো জয়ী হকি দলের অন্যতম সদস্য এই কিংবদন্তির নেতৃত্বেই ভারত ১৯৬৪ টোকিও অলিম্পিকে সোনা জেতে। ভারতীয় হকি স্বর্ণযুগের শেষ সময়ে নায়ক ছিলেন চরণজিৎ সিং। তার পরিচিতি ছিল দুর্দান্ত লেফট হাফ হিসেবেও । এছাড়াও তিনি ১৯৬২ এশিয়ান গেমস রুপোজয়ী দলের সদস্যও ছিলেন। তার খেলোয়াড় জীবনে সবচেয়ে আলোচিত ছিল ১৯৬০ এবং ১৯৬৪ অলিম্পিক ফাইনাল । ১৯৬০এর ফাইনালে ভারত ১-০ গোলে হেরে যায় পাকিস্তানের কাছে। তবে ১৯৬৪ সালে অলিম্পিকে ফাইনালে ভারত এর বদলা নেয়। পাকিস্তানকে ভারত ১-০ গোলে হারিয়ে দেয়। ফাইনাল খেলার উত্তেজনায় বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই দলের খেলোয়াড়়রা। চরণজিৎ, যিনি নিজে খুব ঠাণ্ডা মাথার খেলোয়াড় ছিলেন তিনি অধিনায়ক হয়ে খেলায় মন দিতে বলেন দলের সদস্যদের। এরপর ভারতীয় হকি দল পাকিস্তানকে হারিয়ে সোনা পুনরুদ্ধার করে। খেলা ছাড়ার পর তিনি যুক্ত ছিলেন এমনকি হিমাচল প্রদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্যাল এডুকেশন দপ্তরেও।ভারতীয় হকি ফেডারেশন শোকজ্ঞাপন করেছে তার মৃত্যুতে ।