পরিবহণ কর্মীদের নাভিশ্বাস অবস্থা করোনাবিধি, জ্বালানি মূল্যের সাঁড়াশি চাপে
বেস্ট কলকাতা নিউজ :পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছিল চলতি বছরের শুরুর দিকে ৷ উঠেছিল লকডাউনও৷ আবার মানুষরাস্তায় বেরিয়েছিল৷ ঘুরেছিল এমনকি বাসের চাকা৷ ক্রমশ ফিরছিল চেনা সেই ছন্দ ৷কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এর প্রকোপ৷ আবার স্তব্ধ হয়েছে রাস্তা ঘাট৷ এমনকি বন্ধ ট্রেন চলাচল৷ এদিকে গড়াচ্ছে না বাসের চাকাও৷ সবকিছু যেন আবার থমকে গিয়েছে৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম ব্যস্ত শহর ঘাটাল৷ কিন্তু বিভিন্ন রুটের দূরপাল্লার বাস বাসস্ট্যান্ডে সারি সারি দাঁড়িয়ে রয়েছে কড়া বিধিনিষেধ জারির পর থেকেই । স্বল্প দূরত্বের বাসগুলিরও একই হাল ৷ সব এখন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ঘাটাল সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডে ৷
এদিকে অনেক বাসের চালক, কন্ডাকটর ও খালাসিরা চলে গিয়েছেন বাসে তালাচাবি মেরে দিয়ে ।কেউ কেউ এসে ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন মাঝে মধ্যে৷ দেখে যাচ্ছেন ঠিকঠাক আছে কি না তাঁদের বাস৷ আবার কেউ বৃষ্টির জন্য বাসের ক্ষতি যাতে না হয়, তাই আস্তরণ দিয়ে যাচ্ছেন বাসের ছাদের উপরে। পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা দিন কাটাচ্ছেন একরকম চরম দুশ্চিন্তায়৷ তার উপর পেট্রল-ডিজ়েলের দামও ক্রমশ বাড়ছে লাগামহীনভাবেই৷জ্বালানির মূল্য পৌঁছে গিয়েছে এমনকি সেঞ্চুরির কাছাকাছি৷ ফলে বাস পরিষেবা চালু হলেও লাভ হবে কি না, পরিবহণ কর্মী থেকে শুরু করে বাস মালিকরা তা নিয়ে কোনও কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না৷ পরিবহণ কর্মীদের জন্য ক্রমেই পরিস্থিতি শোচনীয় হয়ে উঠছে৷ একদিকে জ্বালানির আকাশছোঁয়া দাম, তার উপর আবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের ভ্রুকুটি৷ এদিকে বাস মালিকদের অ্যাসোসিয়েশনগুলিও চরম উদ্বিগ্ন পরিবহণ কর্মীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে৷
পরিবহণ মূলত বন্ধ থাকায় অধিকাংশ বাসকর্মীই পেটের টানে কেউ রাজমিস্ত্রির যোগাড়ে বা একশো দিনের কাজে তো আবার কেউ দিনমজুরির করছেন। ঘাটাল বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তাদের আবেদন, তিনি যেন কিছু ভাবেন বাস মালিক ও শয়ে শয়ে কর্মীদের দুরাবস্থা নিয়ে। তবে এই পরিবহণ শিল্পের সঙ্গে যুক্ত শুধু বাসকর্মীরাই নন, গ্যারেজ, যন্ত্রপাতির দোকান থেকে শুরু করে আরও অনেকে ওতপ্রোতভাবে রুজি রোজগারের সঙ্গে জড়িত। টান পড়ছে এমনকি তাদেরও রুজিতেও।