একের পর এক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তার ঝুলিতে, সৃষ্টি যেন কথা বলে এখানে!

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ :কিছু শিল্পকর্ম সত্যিই মানুষকে অবাক করে। আর সেই তাক লাগানো শিল্পকর্ম ফুটিয়ে তুলেই সেরার সেরা স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত শিল্পী। ২০২০ সালে করোনা মহামারী চলা কালীন সময়ে ঘরবন্দী থাকাকালীন লিফ আর্টের প্রতি ভালবাসা গড়ে ওঠে। আর তারপর থেকে একের পর এক সেরা সৃষ্টি লাখো মানুষকে অবাক করেছে।

পেশাগত ভাবে স্থানীয় এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক সঞ্জয় কুমার পয়ড়া। শিল্পমনস্ক এই শিক্ষকের নানা হাতের কাজ ইতিমধ্যেই তোলপাড় ফেলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েও শিক্ষক সঞ্জয় কুমার পয়ড়া। উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে মানুষের। তার হাতের ছোঁয়ায় পাতার উপরে ফুটে উঠেছে নানা মনীষী, থেকে শুরু করে সেরা ব্যক্তিত্ব। কে নেই সেই তালিকায়? সুভাষ চন্দ্র বসু থেকে শুরু করে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণ। এমনকি হাজার হাজার মানুষের মন জয় করেছে তাঁর হাতের এই জাদু।

পেশায় শিক্ষক হলেও তিনি তাঁর শিল্পকলার মধ্যে লিফ কার্ভিংয়ের এই কাজ শুরু করেছিলেন করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার সময় ২০২০ সাল থেকে। ধীরে ধীরে ধৈর্য ধরে চলে পাতার উপর নকশা ফুটিয়ে তোলার কাজ। এই সুক্ষ্ম কাজ করার জন্য তাঁকে দীর্ঘ সময় দিতে হয় এই শিল্পকলার পিছনে বলেই জানালেন শিল্পী।

কীভাবে শুরু করলেন এমন দুর্দান্ত শিল্পকলা? উত্তরে শিল্পী জানিয়েছেন,“ছোটবেলা থেকে আর্ট এর প্রতি একটা অগাধ টান ছিল তবে প্রথাগত আর্টের দিকে না ঝুঁকে আমি একটু আলাদা রকম করাই চেষ্টা করেছিলাম। পেন্সিল ও তুলির মধ্যে নিজের কল্পনা শক্তিকে সীমাবদ্ধ করে রাখিনি। লকডাউন চলাকালীন একদিন মোবাইলে চিনের জনৈক শিল্পীকে পাতা কেটে মানুষের প্রতিকৃতি বানাতে দেখি। তার থেকে প্রেরণা নিয়ে আমি পাতা কেটে প্রতিকৃতি (লিফ আর্ট ) বানানোর চেষ্টা করি। এরমধ্যে বহু মনীষী, কবি, সাহিত্যিক কলেজের প্রিন্সিপাল, স্কুলের শিক্ষক, বিজ্ঞানী এবং শিল্পী রয়েছেন। প্রায় ৮০ এর অধিক মানুষের প্রতিকৃতি আমি বানিয়েছি। এর জন্য আমার নাম ম্যাজিক বুক অব রেকর্ড, ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ড, কালামস ওয়াল্ড রেকর্ড, ইন্ডিয়া প্রাউড বুক অফ রেকর্ড,ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডস, ন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডস,ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস ইন্ডিয়া’তে নথিভুক্ত হয়েছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠা পুরস্কার এবং কিছু জাতীয় স্তরের আর্ট কম্পিটিশনে ব্রোঞ্জ পদক জয়লাভ করেছি। আমারই শিল্পকর্মের বহু জায়গায় প্রদর্শনও হয়েছে”।

পাশাপাশি ‘স্পোকেন ইংলিশ’ শেখানোর কাজটাও করেন তিনি। একই সঙ্গে মঞ্চ সঞ্চালনা এবং কবিতা ও গল্পও লেখাতেও রীতিমত দক্ষ এই গুণী শিল্পী। সঞ্জয় জানিয়েছেন, “শুরুর দিকে তেমন কেউ আগ্রহ না দেখালেও বর্তমানে এই আর্ট এর প্রতি অনেকেই ভালোবাসা দেখিয়েছেন। যদিও বরাবরই আমার বাবা-মা ভাই, আমার স্ত্রী এবং আমার বেশ কয়েকজন বন্ধু আমাকে প্রেরণা জুগিয়ে গেছেন। প্রত্যন্ত গ্রামে থাকার দরুন এই ধরণের আর্টের বিষয়ে মানুষ সেভাবে জানেন না। তাই এই স্বল্প পরিচিত দিয়েই অদ্বিতীয় শিল্পকলাকে আমি বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *