পুলিশ কনস্টেবলের আসল রূপ হানিমুন পর্ব শেষ হতেই ! সার্ভিস রুল দিয়ে স্ত্রী-শাশুড়িকে পিটিয়ে শ্রীঘরে অভিযুক্ত কনস্টেবল

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : বিয়ের পর প্রথম বছরটা খুবই ভাল ছিল। স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যেতেন, খেতে যেতেন, অফিস থেকেও ফিরতেন তাড়াতাড়ি। কিন্তু এখন সবই অতীত। এখন বাড়িতে এলেই ঝগড়া, অশান্তি, মারধর, ঘর থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করে দেওয়ার অভিযোগ। বিয়ের ছ’বছরের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল স্বামীর এহেন পরিবর্তনে রীতিমতো তাজ্জব স্ত্রী। পরিস্থিতি এমনই হল, শ্বশুরবাড়িতে ঢুকে স্ত্রীকে রুল দিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। আর মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে জামাইয়ের লাঠির বাড়িতে হাত ভাঙল শাশুড়ির। শেষমেশ স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার পুলিশ কনস্টেবল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার চৈতল গ্রামে।

চৈতল গ্রামের বাসিন্দা শম্পা মণ্ডলের বিয়ে হয় দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড় থানার চণ্ডীপুর অঞ্চলের মৃন্ময় নস্করের সঙ্গে। বিয়ের ৬ বছর হয়ে গিয়েছে। বছর খানেক ঠিকঠাক চলার পর দু’জনের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। যে কোনও ছোটো ছোটো ইস্যুতেই তাঁদের মধ্যে অশান্তি হত। মৃন্ময় নস্কর রাজ্য সশস্ত্র পুলিশে কনস্টেবল। বর্তমান তিনি কাকদ্বীপ থানায় কর্মরত। অভিযোগ, শম্পাকে প্রায়ই মারধর করতেন মৃন্ময় এবং বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ারও চেষ্টা করতেন। আরও অভিযোগ, কেরোসিন ঢেলে একবার আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাও করেছেন।

অভিযুক্ত কনস্টেবল মৃন্ময় নস্কর 

অভিযোগ, সপ্তাহখানেক আগে শম্পাকে মেরে বাড়ি থেকে বার করে দেন মৃন্ময়। শম্পা বাপের বাড়ি চলে যান। এদিন দুটি মোটরবাইকে করে মৃন্ময়-সহ চারজন হঠাৎই হাজির হন শম্পার বাবার বাড়ি। ঢুকেই শম্পাকে মারধর শুরু করেন। মেয়েকে জামাই মারছে দেখে শাশুড়ি ঠেকাতে যান। অভিযোগ তাঁকে সার্ভিস রুল দিয়ে বেধড়ক মারেন।রুলের আঘাতে হাত ভেঙে যায় শাশুড়ির। মাথা ফেটে যায় শম্পারও। এরপর তাঁরা বাড়ির দরজা আটকে দিয়ে চেঁচামেচি শুরু করেন। আশপাশের লোক জড়ো হলে থানা. খবর দিলে মিনাখাঁ থানার পুলিশ গিয়ে মৃন্ময়কে গ্রেফতার করে। ধৃত পুলিশ কনস্টেবলকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *