ফের ফিরতে চলেছে কনটেনমেন্ট জোন , রাশ পড়তে চলেছে এমনকি রাতের চলাচলেও
বেস্ট কলকাতা নিউজ : ফের কড়াকড়ি ফিরছে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হতেই। জেলায় জেলায় বাড়ছে গণ্ডিবদ্ধ এলাকা, এদিকে রাতে চলাফেরায় নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে মাস্ক পরাতে অভিযান, হোটেল-রেস্তরাঁর ভিড়ে রাশ টানা শুরু হয়েছে উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গে সর্বত্রই। সেই সঙ্গে স্বাস্থ্য দফতর জোর দিচ্ছে আরও বেশি করোনা পরীক্ষা ও দ্রুত টিকাকরণেও।
সংক্রমণের চরম শঙ্কা ছিল দুর্গাপুজোর বেপরোয়া ভিড়ে। তা অবশেষে সত্যি হতে শুরুও করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন জেলাতেও ফেরানো হচ্ছে কন্টেনমেন্ট জ়োন (গণ্ডিবদ্ধ এলাকা), নাইট কার্ফুর বিধিনিষেধও। জলপাইগুড়িতে নিষিদ্ধ হয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত এগারোটার পরে রাস্তায় বেরনো । এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত। আর রাস্তায় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক সারা দিনই। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অভিযান চলবে নিয়মিত ভাবেই। বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে পদক্ষেপ হবে নির্দেশ না মানলে।জলপাইগুড়িতে নির্দেশ জারি হয়েছে হোটেল, রেস্তরাঁয় ৫০ শতাংশ আসন ফাঁকা রাখতেও।
জেলায় জেলায় গণ্ডিবদ্ধ এলাকাও চিহ্নিত করা হচ্ছে করোনা সংক্রমণে লাগাম দিতে। হুগলি জেলা প্রশাসন ১২টির বেশ কিছু এলাকাকে গণ্ডিবদ্ধ চিহ্নিত করেছে হুগলির ১৮টি ব্লকের মধ্যে। সব থেকে খারাপ পরিস্থিতি চন্দননগর পুর এলাকার। সেখানে ৩৩ ওর্য়াডের মধ্যে ১৫টিই গণ্ডিবদ্ধ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচে ভারতের জয়ের প্রার্থনায় এমনকি চুঁচুড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোপীনাথপুরে রবিবার দুপুরে আবার যজ্ঞও হয়েছে করোনা বিধির তোয়াক্কা না করেই। অথচ এই এলাকা গণ্ডিবদ্ধ । আরও অভিযোগ, পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। তবে পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে পান্ডুয়ার খন্যান নৌকাঘাট এলাকায় বিধি ভেঙে আয়োজিত ফুটবল প্রতিযোগিতা।
এদিকে ৪২টি জায়গাকে গণ্ডিবদ্ধ করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ক্যানিং ১ ও ২, জয়নগর ২, কাকদ্বীপ, নামখানা, ডায়মন্ড হারবার-সহ ৯টি ব্লকের বিভিন্ন এলাকা এবং মহেশতলা, রাজপুর-সোনারপুর এবং ডায়মন্ড হারবার পুরসভার কিছু এলাকা মিলিয়ে। মুর্শিদাবাদেও গণ্ডিবদ্ধ এলাকা রয়েছে। মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী বলেন, ”জেলায় ৩০টি কন্টেন্টমেন্ট জ়োন আছে। এ ছাড়াও নাইট কার্ফু সহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও করা হয়েছে।”