বড় মাপের ইলিশ উঠল দিঘায়! বাজার ভরে যেতে পারে দিন কয়েক এর মধ্যেই, ট্রলারমালিকরা দেখছেন রফতানির স্বপ্ন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মরসুমে এই প্রথম ইলিশ উঠল দিঘার সমুদ্র থেকে। মত্‍স্যজীবীরা জানিয়েছেন মোটামুটি ভাবে আটশো গ্রাম থেকে এক কিলোগ্রাম প্রতিটি মাছের ওজন। কেজি প্রতি ছশো থেকে আটশো টাকায় বিক্রি হচ্ছে এই সব ইলিশ। গত পয়লা জুলাই গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয় বড় মাপের ট্রলার এবং ইলিশ ধরার ভাসানীগুলি। তার মধ্যে কয়েকটি ট্রলার দিঘার মোহনায় ভিড়েছে সোমবার সকালেই। মত্‍স্যজীবীরা আরও জানিয়েছেন, তৈরি হয়েছে সমুদ্রে ইলিশ ধরা পড়ার আবহাওয়াও। এতদিন ছিল না সেই অবস্থা। এমনকি ইলিশ ধরার এমন অনুকূল পরিবেশ ছিল না গত বছরও।এদিকে শুরু হয়েছে ইলশেগুঁড়ির বৃষ্টিও।

দীঘার আড়তদার রাধাশ্যাম প্রধান আরও বলেন, ‘শুধু এই বছর নয়, ইলিশ ধরার এমন উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না গত ২ বছর ধরে।লকডাউনের মধ্যে এমনকি আবার আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পরেও তা ছিল না। মাঝ সমুদ্রে এই আবহাওয়া হঠাত্‍ই তৈরি হয়েছে গত দু’দিন আগে থেকে। আজ পরিমাণে কম ইলিশ উঠলেও মাপে বেশ বড়ই ছিল সেগুলো।আমরা আশা করছি দেড় কিলো পর্যন্ত ইলিশ উঠবে বলেও। গত দু’বছরে পড়েনি এমন ইলিশ।’ খুব শীঘ্রই ফিরতে শুরু করে দেবে বাকি ট্রলারগুলি। তখন জলের রুপোলি শস্যের দেখা মিলবে রাজ্যের প্রতিটি বাজারেই। প্রচুর পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়লে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে তা চলে আসবে।এমনটাই মনে করছেন দিঘার মত্‍স্যজীবীরা।

মত্‍স্যজীবী সংগঠনের কর্মকর্তা, শ্যামসুন্দর দাস বলেন, এমন ইলিশ উঠতে শুরু করেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে। আশাকরি আমরা তা পৌঁছে দিতে পারব রাজ্যের সমস্ত বাজারে ।’ ট্রলারের মালিক বিজু পট্টনায়ক বলেন, আমরা প্রায় ধরাশায়ী হয়ে পড়েছিলাম ‘গত দু’বছরে। এবার জালে ইলিশ ধরা পড়ছে। বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়লে আমরা আশা করছি তা রাজ্যের বাইরেও রফতানি করতে পারব বলেও। করোনার জন্য সমুদ্রে ট্রলার নামানো সম্ভব হয়নি এবছর প্রথম দিকে। গত মাসের শেষ দিকে অনেকের জাল প্রস্তুত না থাকায় এবং গ্রামবাসীদের একাংশের আপত্তিতে পয়লা জুলাই ট্রলার শেষ পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়। এবার জালে ইলিশ পড়েছে। ট্রলারও ফিরতে শুরু করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *