বাগবাজারের মায়ের বাড়িতে পালিত হল সারদা মায়ের পদার্পণ তিথি

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : সারদা মায়ের পদার্পণ তিথি পালিত হল বাগবাজারে মায়ের বাড়িতে। সকাল থেকে পুজো শুরু হয় মঙ্গলারতি দিয়ে । আয়োজন করা হয় বিশেষ পুজোর। হোম, বেদপাঠ সঙ্গীত অনুষ্ঠান, সাধুদের ভাণ্ডারা এবং নরনারায়ণ সেবা হয় মায়ের পদার্পণ তিথি উপলক্ষ্যে । স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০২ সালে যখন দেহ রাখলেন। তখন মা সারদাকে থাকতে হয়েছে উত্তর কলকাতায় বিভিন্ন ভাড়া বাড়িতে । সেই সময় স্বামী সারদানন্দ ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক। তিনি পাকাপাকিভাবে এই বাড়িটি তৈরি করেন যাতে মা এখানে থাকতে পারেন। মা এখানে ছিলেন ১৯০৯ থেকে ১৯২০ সাল পর্যন্ত এই ১১ বছর। ‘শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ লীলা প্রসঙ্গ’ লেখার যে টাকা পাওয়া গিয়েছিল, মায়ের বাড়ি হয় সেই টাকা দিয়ে ।সবাই তখন এই বাড়িতে আসতেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে।

রামকৃষ্ণের পার্ষদরা আসতেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। বাইরে থেকে লোক আসতেন মাকে দেখতে। যেমন বিখ্যাত চিত্র পরিচালক সোহরাব মোদি তিনি মায়ের শিষ্য ছিলেন। সিস্টার নিবেদিতা বহুবার এসেছিলেন। জোসেফ ক্লাউড আসেন। আসেন বিখ্যাত অভিনেত্রী তারাসুন্দরীদেবীও। নন্দলাল বসুও বহুবার আসেন। মায়ের কাছে এসেছিলেন সস্ত্রীক অরবিন্দ ঘোষও। কলকাতার ইতিহাসের সঙ্গে এই বাড়ি ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। বহু বিপ্লবীরাও এসেছিলেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে।

এখন যেটি মায়ের বাড়ি বলা হচ্ছে সেই বাড়িটি ছিল কেদার দাস মহাশয়ের। তিনি এই জমিটি দান করেন। তার একটি শর্ত ছিল এই জায়গাতে নিত্য রামকৃষ্ণদেবের পুজো হতে হবে। শরৎ মহারাজ রাজি হলেন এককথায়, যেহেতু মা থাকবেন এবং সেখানেই ঠাকুরের নিত্যপুজো হবে। কিছুদিন কাজ চলার পর টাকা শেষ হয়ে যায়। তখন ঋণ নিতে হয় শরৎ মহারাজকে । প্রথমদিকে মা আসছে চাইছিলেন না। কিছুদিন পর মা নিজেই খবর পাঠালেন যে তিনি আসবেন। তারপর শরৎ মহারাজ গেলেন এবং মাকে নিয়ে আসলেন। ১৯০৯ সালে ২৩ মে বাগবাজারের এই বাড়িতে মা আসেন । কিন্তু মায়ের আসার দিনটি পালন করা হয় না। পালন করা হয় মায়ের পদার্পণ তিথি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *