বিছানা মানুষের দেহের হাড় দিয়ে, মাথার খুলি দিয়ে তৈরী বালিশ! ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো খামারবাড়ি থেকে হাড় ও খুলি উদ্ধারের ঘটনায়

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : মানুষের দেহের হাড় দিয়ে পাতা হয়েছে বিছানা। বসে আরাম করা থেকে ঘুমোনোর জন্য ওই বিছানা করা হয়েছে। সেই ঘরে পচা-দুর্গন্ধে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। অথচ ওই হাড়ের বিছানাতেই ঘুমোতেন বলরাম কোট্যাধীশ। শুধু তাই নয়, বাড়ির ভিতর থেকে মিলেছে মানুষের ২৫টি মাথার খুলি। সেগুলি বালিশ হিসাবে ব্যবহার করতেন বলে গ্রামবাসীর অনুমান। তবে খুলিগুলি নিয়মিত পুজো করতেন বলরাম। তিনি নিজে সে কথা স্বীকার করেছেন। যা শুনে হতবাক পুলিশ থেকে গ্রামবাসী। কর্নাটকের রামানগর জেলার জোগনহল্লী গ্রামের একটি খামারবাড়ি থেকে এই হাড় ও খুলি উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

গ্রামবাসীর অভিযোগ, বলরাম কোট্যাধীশ মানুষের মাথার খুলি সংগ্রহ করে কালাজাদুর কাজে ব্যবহার করেন। শিবরাত্রির অমাবস্যা শেষ হতে তিনি শ্মশানে পুজো করতে যান। তখনই গ্রামবাসী পুলিশকে বিষয়টি জানান। তবে বলরামের বাড়িতে যে মানুষের হাড় দিয়ে বিছানা পাতা রয়েছে, সে কথা গ্রামবাসীরও অজানা ছিল। পুলিশই তদন্তে নেমে সেগুলি উদ্ধার করে। পুলিশ তদন্তে গিয়ে দেখেন, বলরামের বাড়িতে মানুষের হাড়ের অনেকগুলো বান্ডিল পড়ে রয়েছে। ঘর থেকে এতটাই দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল যে, পুলিশও দাঁড়াতে পারছিল না। তারপর ঘটনার তদন্তে নেমে বলরামকে গ্রেফতার করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।

যদিও কালাজাদুর কথা অস্বীকার করেছেন বলরাম। তবে খুলি সংগ্রহের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “দাদার আমল থেকেই আমরা বুরুদে পুজো করে আসছি।” খুলিতে আবার আরশিনা, জাফরান ও সাদা ডোরা লাগানো হত। এভাবে বাড়ির মধ্যে এতগুলি খুলি উদ্ধার হওয়ায় এবং সেগুলি পুজো করার কথা অকপট স্বীকার করায় হতবাক পুলিশ থেকে গ্রামবাসী সকলেই ।

পুলিশ জানায় , বলরাম কোট্যাধীশের বিদাদি শিল্প এলাকায় কয়েকটি জমি রয়েছে। জমিগুলি বেসরকারি কোম্পানিকে লিজ দেওয়া রয়েছে। আর একটি জমিতে শেড তৈরি করেছেন। সেই শেডের নাম দেওয়া হয়েছে শ্রী শ্মশান পীঠ। সেখান থেকেও ৫০টির বেশি হাড় উদ্ধার হয়েছে।
তবে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এএসপি টিভি সুরেশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *