ব্যবসায়ীদের মন ভরাল না পুজোর দিঘা , বিগত বছরের তুলনায় অনেক কম আগত পর্যটকদের সংখ্যা

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : এবার পুজো জমল না সৈকত শহরের হোটেল ব্যবসায়ীদের। পর্যটক এসেছেন ঠিকই। তবে অন্যান্য বছর যে লক্ষ্মীলাভ হয়, এবার তা অনেকটাই কম। পুজোয় হালকা শীতের আমেজ ছিল। হেমন্তের ছোঁয়া প্রকৃতির বুকে। তবু পুজোর ছুটিতে অন্যবারের তুলনায় এবার দিঘায় অনেকটাই কম ভিড় নজরে এসেছে।পুজোর কয়েকটা দিন রাস্তাঘাটে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সে ভিড়ে পর্যটকরাও কম ছিল না। তারপরও কেন এমন খেদ ব্যবসায়ীদের গলায়? পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁরা বলছেন, গত বছর পুজোর আগে দিঘার হোটলগুলিতে আগাম বুকিংই হয়েছিল প্রচুর। সঙ্গে স্পট বুকিং তো ছিলই।

দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর মিলিয়ে সৈকতের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে বড় ছোট হোটেল-লজের সংখ্যা ৭০০-র বেশি। এবার পুরীতে প্রচুর ভিড় হয়েছে, বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তবে সৈকত শহর দিঘার ভিড় অনেকটাই হালকা।

দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, পুজোর সময় দিঘাতে অনলাইন হোটেল বুকিং তেমন একটা হয়নি। বড় ছুটির আগে অনলাইনেই হোটেলের সিংহভাগ বুকিং হয়ে যায়। গত কয়েক বছর ধরে এমনই হয়ে আসছে। অনলাইন হোটেল বুকিং থেকে আন্দাজ করা যায় পর্যটকদের ভিড় কেমন হবে। আমরা খুব আশা করেছিলাম দেবী পক্ষের শুরু না হোক মাঝের দিকে অন্তত লক্ষ্মীলাভ হবে। কিন্তু তেমনটা হল না।”

দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানসকুমার মণ্ডলের কথায়, পুজোর সময় পর্যটকদের ভিড় অন্যবারের তুলনায় কিছুটা কম। তবে হতাশাজনক নয়, বলছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে সৈকত শহরকে ঢেলে সাজাচ্ছি। আশা করি আগামী উৎসবের দিনগুলিতে দিঘায় পর্যটকদের ঢল নামবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *