ব্ল্যাক ফাংগাস : কী ওষুধ, কী সতর্কতা, অবশেষে রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইন
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কোভিডের সঙ্গে মিউকরমাইকোসিস হলে কী ওষুধ ব্যবহার করা যাবে? ‘জয়েন্ট ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স’ সেই সংক্রান্ত পরামর্শই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রককে। আর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এ বার রাজ্যগুলিকে নির্দেশিকা পাঠাল সেই পরামর্শ মেনেই। কেন্দ্র এই নির্দেশিকা মেনে চলারও নির্দেশ দিয়েছে এমনকি রাজ্যগুলিকে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ দিতে বলা হচ্ছে নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)-এর ডিরেক্টর জেনারেল বলরাম ভার্গবের পরামর্শ মতো। এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে লাইপোজোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ও অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ডিঅক্সিকোলেট রূপেও। সমান কার্যকরী ২টি ওষুধই। কিন্তু যদি না থাকে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ওষুধ কিংবা তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কোনও রোগীর শরীরে , সে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যেতে পারে পসাকোনাজল ইঞ্জেকশন ।
কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, কোনও রোগীর কিডনির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটতে পারে অ্যাম্ফোটেরিসিন বি ডিঅক্সিকোলেট ওষুধ ব্যবহার করলে। কোনও রোগীর মস্তিষ্কে মিউকরমাইকোসিস হলে সে ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে লাইপোজোমাল অ্যাম্ফোটেরিসিন দেওয়ার।এমনকি স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীকে। কেন্দ্র জানিয়েছে এমনকি অক্সিজেন দিলে বা মাস্ক পরলে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের কোনও সমস্যা হবে না বলেই।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই নির্দেশ দ্রুত জানাতে হবে রাজ্যের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে যাতে অন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার না হয়, কেন্দ্র সেই নির্দেশও দিয়েছে।(‘মিউকরমাইকোসিস’ আদৌ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নয়। বস্তুত, চিকিত্সকরা জানাচ্ছেন ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলে কোনও রোগ নেই বলেও।