মনমোহন সিং সংসদে যেতে পারেন হুইল চেয়ারে, বিরোধীদের ব্লু প্রিন্ট দিল্লি অধ্যাদেশ বিলের বিরোধিতায়
বেস্ট কলকাতা নিউজ : একদিকে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্যসভাতেও এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোমর বাঁধছে বিরোধীরা। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই রাজ্যসভায় পেশ হতে পারে দিল্লি সার্ভিসেস বিল। সেই বিল নিয়ে আগেই আপত্তি জানিয়েছে একাধিক বিরোধী দল। সূত্রের খবর, এবার রাজ্যসভায় সেই বিলের বিরোধিতা করতে নজিরবিহীন প্রস্তুতির ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করছে বিরোধী শিবির।
জানা গিয়েছে, সংখ্যা থাকুক বা না থাকুক, আলোচনার পর ভোটাভুটি চাইবেন বিরোধীরা। আর ভোটাভুটির দিন বিজেপি বিরোধী সব দলের সাংসদদের ১০০ শতাংশ হাজিরা নিশ্চিত করা হবে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাসদ ড. মনমোহন সিং অসুস্থ থাকলেও, তাঁকে ওই দিন হুইলচেয়ারে নিয়ে যাওয়া হবে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে রয়েছেন জেডিইউ-র বর্ষীয়ান সাংসদ বশিষ্ঠ নারায়ণ সিং। সূত্রের খবর, হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকদের বিশেষ পর্যবেক্ষণে অ্যাম্বুল্যান্সে করে সংসদ ভবনে নিয়ে আসা হবে তাঁকেও। প্রয়োজনে স্ট্রেচারে করে রাজ্যসভায় ঢোকানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। বার্ধক্যের কারণে বেশিক্ষণ বসতে পারেন না আর এক সাংসদ তথায় ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার প্রধান শিবু সোরেন। রাঁচি থেকে শুধু ভোট দেওয়ার জন্যই তাঁকে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লিতে। ভোটাভুটির নির্দিষ্ট সময়ের জন্যই তিনি অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত হতে পারেন।
এছাড়া বিরোধীরা আগামী কয়েক দিন রাজ্যসভায় অত্যন্ত সন্তর্পণে পদক্ষেপ করবেন। কোনও পরিস্থিতিতেই যাতে কোনও সাংসদ সাসপেন্ড না হন, সেদিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সাসপেন্ড হলেও সংখ্যা কমে যেতে পারে।
দিল্লি সার্ভিসেস বিল কবে পেশ করা হবে, তা আগাম জানানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। রাজ্যসভার দলনেতা পীযূষ গোয়েলকে চিঠি লিখেছে তৃণমূল। তবে কবে পেশ হবে তা এখনও জানা যায়নি। ইতিমধ্যেই সাংসদদের হাজিরা বাধ্যতামূলক করতে হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস এবং জেডিইউ।
উল্লেখ্য, জমি, পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা ছাড়া সমস্ত ক্ষেত্রে দিল্লি সরকারের হাতে অধিকার থাকবে বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের পর দিল্লির কেজরীবাল সরকার আমলা বদলি করে। এরপরই কেন্দ্রের তরফেও একটি অধ্যাদেশ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যেখানে দিল্লির আমলাদের নিয়োগ ও বদলির ক্ষমতা লেফটেন্যান্ট গভর্নরের হাতে থাকবে। সেই বিলই এবার পেশ করা হবে রাজ্যসভায়।