এই ভারতীয় শেয়ারগুলির দর পড়তে পারে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের জেরে

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : গত সপ্তাহান্তে ইজরায়েলে ইরান-সমর্থিত প্যালেস্টাইনি যোদ্ধা গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত আক্রমণের ফলে নতুন করে মধ্যপ্রাচ্যে উসকে উঠেছে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা। যুদ্ধ ঘোষণা করছে তেল আবিব। লাফিয়ে বেড়েছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বৃহস্পকিবার এই যুদ্ধ ছয় দিনে পড়ল। তবে, এখনও পর্যন্ত ভারতীয় ইক্যুইটি বাজারে এই যুদ্ধের খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। যদিও, ইজয়ায়েলের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে, বা ইজরায়েলে কাজ করে, এমন বেশ কিছু ভারতীয় সংস্থাকে নিয়ে গভীর অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই সংস্থাগুলির স্টক কেনেননি তো আপনি? দেখে নিন –

ইজরায়েলের হাইফা বন্দর পরিচালনা করে ‘আদানি পোর্টস’। চাপের মধ্যে রয়েছে, গৌতম আদানির এই সংস্থা। ৯ অক্টোবরই আদানি পোর্টসের স্টকের মূল্য প্রায় ৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। আদানি পোর্টস জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা প্রস্তুত আছে।

ইজরায়েলের ট্যারো ফার্মাসিউটিক্যালের বেশিরভাগ অংশের মালিক ভারতের সান ফার্মাসিউটিক্যাল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই ভারতীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার শেয়ারের দর প্রায় ২ শতাংশ কমে গিয়েছে। জেনেরিক ওষুধ প্রস্তুতকারক ড. রেড্ডিস এবং লুপিনের শেয়ার নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই খাতে সবথেকে বড় সংস্থা তেল আবিবের ‘তেভা ফার্মাসিউটিক্যাল’। এই ইজরায়েলি সংস্থার উপর যুদ্ধের কী প্রভাব পড়বে, তার উপর অনেকটাই নির্ভর করছে ড. রেড্ডিস এবং লুপিনের শেয়ারের দর।

ইজরায়েলে সরকারি প্রকল্প-সহ বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেস বা টিসিএস (TCS)। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে এই ভারতীয় তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার হাজারের বেশি কর্মী রয়েছে। বর্তমানে তাঁরা ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন। যাইহোক, হামাস-ইজরায়েল যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে টিসিএস-এর শেয়ারের দরেও। পাশাপাশি, উইপ্রো, টেক মাহিন্দ্রা এবং ইনফোসিসের মতো তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ও লারসেন অ্যান্ড টুব্রোর মতো ভারতীয় সংস্থাগুলিরও ইজরায়েলে বড় লগ্নি রয়েছে।

এছাড়া, শেয়ারের দর পড়তে পারে ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড-সহ তেল বিপণন সংস্থাগুলিরও। কারণ ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা যদি আরো বাড়ে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে। এখনও পর্যন্ত সরবরাহে কোনও বড় ধরনের ব্যাঘাত ঘটেনি। কারণ, ইজরায়েল বা প্যালেস্টাইন – কোনোটিই তেল উৎপাদনকারী নয়। তবে, হামাসের প্রধান সমর্থক ইরান যদি এই যুদ্ধে অংশ নেয়, তাহলে পরিস্থিতি বদলে যাবে। তেল সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটবে এবং অপরিশোধিত তেলের দাম বাড়বে। তাই, এখন এই সংস্থাগুলি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বড় ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল বলে জানাচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *