মাকে খুন সম্পত্তির লোভে , ছেলের যাবজ্জীবন সাজা ২ বছর পর
বেস্ট কলকাতা নিউজ : মাকে খুন করে নিজেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। ডাক্তারদের বলেছিলেন আচমকা জ্ঞান হারিয়ে ছিলেন ওই মহিলা। কিন্তু, দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হয় চিকিৎসকদের। খবর যায় পুলিশে। তার থেকেই পলাতক ছিলেন হাওড়ার সাঁকরাইলের বাসিন্দা সরোজ কাঁড়া। ২০২১ সালের ৯ আগস্ট শ্যামলী কাঁড়ারকে গলা টিপে খুনের অভিযোগ ওঠে সরোজের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার এক বছর পর সরোজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুরু হয় খুনের মামলা। অবশেষে সাত মাস পর এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হল সরোজ। তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন হাওড়া জেলা আদালতের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়েরা বিচারক সোমেশ প্রসাদ সিনহা।
এদিকে ,পুলিশ সূত্রে খবর, বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই সম্পত্তি নিয়ে মায়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে বিবাদ চলছিল সরোজের। ২০২১ সালের অগস্ট মাসে সরোজ সাঁকরাইলে একটি বাড়িও ভাড়া নেন। সেখানেই মাকে নিয়ে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই মাকে খুন করে পালিয়ে যায় সে। কিন্তু, কিছুতেই খোঁজ পাচ্ছিল না পুলিশ।
অবশেষে ২০২২ সালে ধরা পড়ে সে। এদিকে শ্যামলী দেবীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে মৃত্যুর সময় তাঁর শরীরে ছিল ১৬টি আঘাতের চিহ্ন। গলা টিপে যে তাঁকে হত্যা করা হয়, সেই প্রমাণও মিলেছে। এই রিপোর্টকে হাতিয়ার করেই সরোজের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। এই মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্যও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারি আইনজীবী অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। এদিকে সরোজ আবার আইনের ছাত্র ছিল বলেও জানা গিয়েছে।