মাথা, ঘাড়ের প্রবল যন্ত্রণা! এই কয়েকটি ঘরোয়া উপায়ে পাবেন দ্রুত আরাম
বেস্ট কলকাতা নিউজ : কথায় আছে মাথা থাকলেই মাথা ব্যাথা। আর নতুন কিছু নয় এই সমস্যা। সারাদিনের ব্যস্ততার সাথে মাথা ঘাড়ের অসহ্য যন্ত্রনা শুরু হয় অফিসের চাপ বাড়লেই। সেই সাথে মাইগ্রেন ও সাইনাস থাকলে তো আর তো কোনো কথাই নেই , মাথা যেনো ছিঁড়ে খায় অসহ্য যন্ত্রনায়। তবে এসব সমস্যা ছাড়াও মাথা ব্যাথা হতে পারে সর্দি কাশি থেকে কিংবা চোখের সমস্যা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের দিকে চোখ রাখা, অতিরিক্ত আওয়াজ, ধুপকাঠি, পারফিউমের তীব্র গন্ধ, বায়ু দূষণ, মানসিক চাপ, হতাশা থেকেও। আর অনেকে মুঠো মুঠো স্যারিডন, প্যারাসিটামল বা অন্যান্য ঔষুধ খান তা কমাতেই। যা মোটেই ভালো নয় আমাদের শরীরের পক্ষে। তাই এসব ঔষুধ খাওয়ার আগে আগে জানুন কিছু উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে ব্যাথা নিরাময়ের।
১.ঠান্ডা বা গরম কিছু : যেকোনো ধরণের মাথা ব্যাথায় ঠান্ডা বা গরম সাহায্য করে ব্যথা উপশমের ক্ষেত্রে। সেক্ষেত্রে খাওয়া যেতে পারে গরম তুলসী পাতা, আদা, পুদিনার চা। অন্যদিকে আইসব্যাগ চোখের ওপর বা কপালে দিয়ে বসে থাকুন ঠান্ডার ক্ষত্রে। ভুলেও শোবেন না।
২. আদার দাওয়াই: যেকোনো ধরণের মাথা ব্যাথার কার্যকরী ঔষুধ হল আদা চা বা শুধু আদার রস। গরম চায়ে আদার রস দিন কিংবা আদা থেঁত করে গেলে রাখুন সেক্ষত্রে।
৩.পুদিনা পাতা : ম্যানথল ও ম্যানথন জাতীয় উপাদান রয়েছে পুদিনা পাতায়। যা ঠান্ডা আরামদায়ক অনুভুতি দেয় শরীরে প্রবেশ করে। ফলে মাথা ব্যাথা অনেকটা কমে। সেক্ষেত্রে যেখানে ব্যাথা করছে সেখানে ভেজানো পুঁদিনা পাতা বেটে কপালে লাগান। এছাড়া খাওয়া যায় পুঁদিনা চা বানিয়েও।
৪.তুলসী পাতা: আগেই বলা হয়েছে মাথার ব্যাথা উপশমে বেশ কার্যকরী তুলসী পাতার চা। এছাড়া তুলসী পাতার সেবনে সর্দি কাশি, বুকে কফ জমার সমস্যাও কমে।
৫. পিপার মিন্ট অয়েল: যখনই মাথা ব্যাথার সমস্যা হবে তখন আরাম পাবেন এক চামচ নারকেল তেল বা অন্য তেলের সাথে ৫-৬ ফোঁটা পিপার মিন্ট অয়েল মিশিয়ে ব্যাথার জায়গায় লাগালে।
৬. যষ্ঠী মধুর ব্যবহার: মাথা ব্যাথা, হাইপারটেনশন, মানসিক চাপ কমাতে যষ্ঠীমধুর ভূমিকা অশেষ। তাই এসব সমস্যা কমাতে সারাদিনে তিন থেকে চার বার যষ্ঠীমধুর টুকরো লজেন্সের মতো মুখে রাখুন।