মা কালীর মন্দিরে পা পড়েছিল ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ! কোথায় রয়েছে এমন সতীপীঠ? আপনাকে অবাক করবে এখানকার অলৌকিক কাহিনী

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : একই মন্দিরে একসঙ্গে মেলে মা কালী ও শ্রীকৃষ্ণের দর্শন। এই মন্দিরে গেলেই সকল মনোবাঞ্ছা পূরণ হয়। মা নাকি নিজের কানে শোনেন ভক্তের সব কথা। জানা আছে, এই মন্দিরের পেছনে রয়েছে কোন অলৌকিক কাহিনী ? যদি একই মন্দিরে মেলে মা কালী ও শ্রীকৃষ্ণের দর্শন তা হলে তো ভক্তদের ভিড় উপচে পড়বেই। এই মন্দিরে তাই দর্শনার্থীদের আগমন থাকে সারা বছর। শিমলা থেকে ১৬৫ কিমি দূরে সারাহানে অবস্হিত এই ভীমাকালী মন্দির। এই মন্দিরটি আটশো বছরের পুরানো। এটি একান্ন পীঠের মধ্যে অন্যতম। ভক্তদের বিশ্বাস এই মন্দিরে গেলেই নাকি পূরণ হয় মনের আশা। চলুন জেনে নেওয়া যাক সারাহানের পৌরাণিক গুরুত্বের কথা।

তখন এর নাম ছিল শনিতপুর। বানাসুরের রাজধানি ছিল এই জায়গা। মহাদেবের ভক্ত বানাসুর এক সময় শ্ৰী কৃষ্ণের পৌত্র অনিরুদ্ধকে বন্দি করে রেখেছিলেন। তাঁর সুন্দরি কন্যা ঊষার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য অনিরুদ্ধকে বন্দি করেন তিনি। সেই কথা জানতে পেরে শ্রীকৃষ্ণ বানাসুরের রাজ্য আক্রমন করেন। কিন্তু বানাসুরকে রক্ষা করতে স্বয়ং মহাদেব আসেন শ্রী কৃষ্ণের সাথে যুদ্ধ করতে। ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হয়। শ্রীকৃষ্ণ কৌশলে বাবা শিবকে ঘুম পাড়িয়ে দেন। এরপর শ্রী কৃষ্ণ বানাসুরের সব কটা হাত কেটে তাঁর মাথা কাটার জন্য উদ্যত হন। তখন বাবা শিব জেগে গিয়ে বানাসুরকে প্রানে মেরে ফেলার থেকে রক্ষা করেন। ভুল স্বীকার করে বানাসুর। অনিরুদ্ধ এবং ঊষার বিবাহ দেন। শ্রী কৃষ্ণ তাঁর রাজ্য তাকে ফিরিয়ে দেন। সেই থেকে এখানে পুজো পান শ্রীকৃষ্ণ।

সারাহানের এই কাহিনীর সাথে মা ভীমকালীর অবস্থান এই জায়গার গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। সতী মায়ের কান পড়েছিল এখানে। তাই বলা হয় ভক্তের মনোবাঞ্ছা সরাসরি মায়ের কানে পৌঁছায়। সেই জন্য এই মন্দির খুবই জাগ্রত। মন্দিরটির তিব্বতি স্থাপত্য শৈলীতে বৌদ্ধ ও হিন্দু প্রভাব রয়েছে। উপাসনালয়ে দুই ধর্মেরই ব্রোঞ্জ মূর্তি রয়েছে। তির্যক স্লেট ছাদ, সোনার টাওয়ার, প্যাগোডা এবং খোদাই করা রূপালী দরজার এই মন্দির সারাহানের অন্যতম আকর্ষণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *