মৃত্যু ফাঁদ রয়েছে আপনার বাড়িতেই , কারেন্ট চলে আসতে পারে ফ্রিজের বডিতে! সাবধানে থাকবেন কীভাবে ? জেনে নিন

বাংলার খবর | বেস্ট কলকাতা নিউজ

বেস্ট কলকাতা নিউজ : আপনার বাড়িতে নিশ্চয়ই ফ্রিজ আছে। যখন তখন কি ফ্রিজে গিয়ে হাত দেন? একটু সাবধান। ফ্রিজেই লুকিয়ে মৃত্যুর ফাঁদ। চোখের পলকে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। কিচ্ছু করার থাকবে না। অযথা আতঙ্কিত হবেন না, আগে ভালো করে শুনুন। একটু ভুল আর একটু অসাবধানতায় ফ্রিজের কারণে প্রাণ যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। মাস দুয়েক আগেই, উদয়পুরে এক বাবা মেয়ের প্রাণ গিয়েছিল শুধুমাত্র ফ্রিজের কারণে। ফ্রিজ থেকে যে কোনো মুহূর্তে কারেন্ট শক লাগতে পারে। সাবধানের মার নেই, বাড়িতে থাকা ফ্রিজ সম্পর্কে এই কয়েকটা কথা অবশ্যই জেনে রাখুন।

বাড়িতে ফ্রিজ কিনেছেন অথচ সতর্ক হননি এমন ব্যক্তি খুব কমই রয়েছে। তাহলে কীভাবে ফ্রিজের বডিতে কারেন্ট চলে আসে? আপনার কোনো ভুল না থাকলেও কিন্তু এমনটা হতে পারে। যখনই দেখবেন ফ্রিজের বডিতে টেস্টার ধরলে আলো জ্বলছে কিংবা হাত দিলে শক লাগছে, তাহলে পিছনে বিস্তর গন্ডগোল। আসলে ফ্রিজ চালু হওয়ার জন্য বা অপারেট করার জন্য যে বিদ্যুত সাপ্লাই রয়েছে তা যদি কোনো কারণে লিকেজ হয়ে ফ্রিজের বডিতে চলে আসে তাহলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটবে। কিন্তু প্রশ্ন, হঠাৎ কেনই বা লিকেজ কারেন্ট ফ্রিজের বডিতে আসবে? আসলে ফ্রিজ সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য কম্প্রেসার নামক একটা যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। যেটি থাকে ফ্রিজের পিছন দিকে বোর্ডের নিচের অংশে। এর মধ্যেই থাকে একটা মোটর। হঠাৎ প্রচন্ড গরমে বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোন কারণে মোটরের ইনসুলেশন দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এই ইনসুলেশন কি? ইনসুলেশন হল বিদ্যুৎ পরিবাহী তারের উপরে থাকা একটা আবরণ, যা সহজে বিদ্যুৎ বাইরে বের হতে দেয় না। কিন্তু এই ইনসুলেশন দুর্বল হলে লিকেজ কারেন্ট কম্প্রেশারের মাধ্যমে চলে আসে ফ্রিজের বডিতে।

একটু খেয়াল করে দেখবেন, ফ্রিজের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একটা থার্মোস্ট্যাট ব্যবহার করা হয়। আর ফ্রিজের ভিতরেই রয়েছে একটা ইন্ডিকেটর ল্যাম্প। এই দুই অংশে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য রয়েছে বিশেষ তার। সেই তারের ইনসুলেশন যদি বাইচান্স দুর্বল হয়ে যায় তখনও কিন্তু লিকেজ হয়ে ফ্রিজের বডিতে কারেন্ট চলে আসতে পারে। ফ্রিজে পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য একটা মেইন মোটা তার ব্যবহার করা হয়। যেটা সরাসরি দেওয়া থাকে প্লাগের সঙ্গে। এই পাওয়ার সাপ্লাই তারটাও ভীষণ ইম্পর্ট্যান্ট। এর ইনসুলেশন ফেলিওর হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। একটা ফ্রিজের যখন এতই সমস্যা তাহলে সমাধান কীভাবে করবেন? আতঙ্কিত হবেন না। একটু সতর্ক থাকলেই এই সমস্যা কোন সমস্যাই নয়।

বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষজ্ঞরা দাবি করেছেন, ফ্রিজ দেওয়াল থেকে অন্তত ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি দূরে রাখা ভালো। ফ্রিজের পিছনে জালের মত অংশ থেকে তাপ নির্গত হয়। তাই দেয়াল থেকে একটু দূরে রাখলে ফ্রিজের উপরে চাপ কম পড়ে। বিপদে পড়ার আগেই ছোট্ট একটা কাজ করে নিতে হবে। ফ্রিজের সঙ্গে আর্থিং করা অত্যন্ত জরুরি। যদি এটা করে নেন, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে ত্রুটিও থাকলেও সেই কারেন্ট মাটির ভিতরে চলে যাবে। তখন সেই ডিভাইস স্পর্শ করলেও আর শক লাগবে না। এই আর্থিং মূলত চার ধরনের হয়ে থাকে, বার, প্লেট, পাইপ আর স্ট্রিপ। আপনি আপনার সুবিধা অনুযায়ী যে কোন একটা করে নিতে পারেন। ফ্রিজের উপর প্লাস্টিকের কভার রাখবেন না। খুব গরম জিনিস সরাসরি ফ্রিজে রেখে দেবেন না। আর ভুলেও ভিজে হাতে ফ্রিজ খুলবেন না। এই কয়েকটা সাবধানতা মানলেই যথেষ্ট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *